মালয়েশিয়ায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত দেশটিতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ঔষধ, গাড়ির ব্যাটারী, রপ্তানি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। এ মুহুর্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। এ বছরই এ স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে। এ স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদান করা হলে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।
সোমবার মালয়েশিয়ায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তপা মোহাম্মদের সঙ্গে তার বাসভবনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, আলোচনায় মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগের জন্য সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ সরকার দেশব্যাপী ১০০টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। মালয়েশিয়া চাইলে তাদের বিনিয়োগকারীদেরকে একটি স্পেশাল ইকনোমিক জোন দেওয়া হবে। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী মালয়েশিয়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজ করার আহবান জানিয়েছেন। যাতে উভয় দেশের মধ্যে যাতায়াত সহজ হয় এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার সময় উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। সে আলোকে উভয় দেশ বাণিজ্যবৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশকে বেশি পরিমানে পণ্য রপ্তানি করতে মালয়েশিয়ার বাজারে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে রপ্তানি পণ্য এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বাড়বে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনার জন্য তোফায়েল আহমেদ মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তপা মোহাম্মদ এর আমন্ত্রণে ১৭ তারিখ মালয়েশিয়া যান। বর্তমানে মন্ত্রী সেখানে অবস্থান করছেন।
মন্তব্য চালু নেই