মামলায় ফেঁসে যাওয়া সালমানের সহশিল্পীরা

তারকা ও বিতর্ক— এ দুটি শব্দের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। কেন না তারকা মানে বিতর্ক। বিতর্ক নেই এমন তারকা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বলিউড তারকা সালমানের মামলার রায় অন্য অনেক তারকার কথা মনে করিয়ে দেয়। অনেক সেলিব্রেটির বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা। তবে সালমানের মতো হত্যার মামলা নেই কারো বিরুদ্ধে।

মজার বিষয় হল সাম্প্রতিক সময়ে মামলায় ফেঁসে যাওয়া তারকার তালিকা করলে— সালমানের বিভিন্ন চলচ্চিত্রের সহশিল্পীদের নাম পাওয়া যাবে। তেমন কয়েকজনের খবর জেনে নিন—

সঞ্জয় দত্ত : কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সেলিব্রেটিদের মধ্যে এগিয়ে আছেন ‘খলনায়ক’ তারকা সঞ্জয় দত্ত। ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রেখে মামলায় ফেঁসে যান সুনীল-নার্গিসের ছেলে। এখন তিনি পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে সাজা কাটছেন। তবে ঘন ঘন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কারাজীবনে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন এ তারকা। সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘সাজন’, ‘চল মেরে ভাই’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে।

ফারদিন খান : ‘কুরবানী’ খ্যাত ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন খান। তিনি ২০০১ সালে কোকেন কেনার চেষ্টায় আটক হন। তবে প্রথমবার বলে মুক্ত হন। এ তারকা সালমানের সঙ্গে ‘নো এন্ট্রি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রটির সিক্যুয়াল হওয়ার কথা ছিল। সালমানের কারণেই তা সম্ভবত আপাতত হবে না।

সাইফ, টাবু, নীলম, সোনালী : ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হন সালমান খান। সঙ্গে ছিলেন ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ চলচ্চিত্রের অন্য তারকারা— সাইফ আলী খান, টাবু, নীলম ও সোনালী বান্দ্রে। সালমান গাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে হরিণ মেরেছিলেন। এক যুগের বেশি সময় ধরে এ মামলাটি চলছে। রাজস্থানের নিম্ন আদালতে সালমানের ৫ বছর জেল হয়েছিল। এখন মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ বছরের জেল। যা সালমানের সঙ্গে থাকা অন্য তারকাদের জন্যও প্রযোজ্য।

এ দিকে রেস্টুরেন্টে এক ব্যবসায়ী ঘুষি মেরে ২০১২ সালে যান সাইফ আলী খান। এর জন্য তাকে আটকও করা হয়। পরে জামিন পান এ তারকা। কিন্তু এ কারণে তাকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় পদক ফেরত নেওয়ার সুপারিশও করেছেন অনেকে।

জন আব্রাহাম : ‘ধুম’ তারকা জন আব্রাহাম ২০০৬ সালে মোটরবাইক নিয়ে দুই সাইকেল আরোহীকে জখম করেন। ছ’বছর পর বান্দ্রা কোর্টে ১৫ দিনের জেল দেন তাকে। তবে হাইকোর্টে জামিন হয়। জন ও সালমানকে একসঙ্গে দেখা গেছে ‘বাবুল’ ও ‘সালাম-এ-ইশক’ চলচ্চিত্রে।

সুরজ পাঞ্চোলি : প্রেমিকা জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সুরুজের বিরুদ্ধে। মামলাটি এখন সিবিআই তদন্ত করছে। সালমান প্রযোজিত ‘হিরো’ রিমেকে সুরজের বলিউড অভিষেকের কথা হয়েছে। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন সুনীল শেঠির মেয়ে আথিয়া। জিয়া খানের মা সালমানকেও পরোক্ষভাবে দোষী করেন বিভিন্ন সময়ে।

আমির খান : সে একই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে মিস্টার পারফেক্টশনিস্টের বিরুদ্ধে। তবে এটি শখের বশে শিকার নয়। ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘লগন’ এ একটি মৃত হরিণ দেখানো হয়। সালমান-আমির একত্রে অভিনয় করেছেন কাল্ট ক্লাসিক ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ চলচ্চিত্রে। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। এ ছাড়া ‘পিকে’ সিনেমায় ধর্ম অবমাননার জন্য তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।

শিল্পা শেঠি : ‘গর্ব’, ‘আওজার’সহ বেশকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান খান ও শিল্পা শেঠি। সম্প্রতি এক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে। শিল্পা যথারীতি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শাইনি আহুজা : মহেশ ভাট পরিবারের বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকের নজর কাড়েন ‘গ্যাংস্টার’ তারকা শাইনি আহুজা। গতানুগতিক নায়কোচিত না হলেও তার অন্য রকম আবেদন ছিল। ২০১১ সালে পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭ বছরের জেল দণ্ড পান তিনি। পরিচারিকা বয়ান পাল্টালেও প্রমাণের ভিত্তিতে কারাদণ্ড বহাল। এখন জামিনে মুক্ত। দণ্ড ঘোষণার পর সালমান তার জন্য বিবৃতি দেন। সালমানের সঞ্চালনায় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ এ শাইনিকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে তিনি তাতে সম্মত হননি।



মন্তব্য চালু নেই