মামলায় জর্জরিত বিএনপি নেতারা

একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক নেতার বিরুদ্ধে ১১৭টি মামলারও নজির সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে নিজের বাড়ি ও দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন অনেকেই। নেতারা অভিযোগ করছেন, আন্দোলন দমাতে এসব মামলা দেয়া হচ্ছে। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে ভাটা পড়ে। বছরজুড়ে তেমন কোনো কর্মসূচি না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলাও হয়েছে তুলনামুলকভাবে কম। কিন্তু বছরের শেষদিকে এসে রাজনীতির মাঠে কিছুটা উত্তেজনা। সেইসঙ্গে আবার বাড়তে শুরু করেছে মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার হার। দুজন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন এরই মধ্যে। সেইসঙ্গে পুরনো মামলাগুলোর চাকাও ঘুরছে।

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মামলা হয়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে ২৫টির। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে ১৪টি। তবে, বাড়ি নিয়ে করা দুদকের মামলায় বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। আরেক সদস্য এম কে আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে নয়টি। মামলা এবং অসুস্থতায় প্রায় পর্যদুস্ত সাবেক এই বর্ষীয়ান আমলা।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৩টি মামলা হয়েছে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে। ঢাকা মহানগরের আহবায়ক মনোনীত হওয়ার পর এ সংখ্যা বাড়ছে। মাত্র ১০টি মামলা হলেও সারাক্ষণ গ্রেফতার আতঙ্কে থাকতে হয় দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে।

অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছয়টি, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও আ স ম হান্নান শাহর পাঁচটি করে এবং গয়েশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২৫টি।

১১৭ মামলা নিয়ে শীর্ষে আছেন যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এছাড়া, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের ৪৭টি এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী অ্যানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪০টি।



মন্তব্য চালু নেই