মানুষ এখনো দুই পায়ে সুষ্ঠুভাবে হাঁটা শেখেনি!

সৃষ্টির উষালগ্ন থেকেই মানুষ তার দেহ-মন-মস্তিষ্ককে ক্রমশ বিকশিত করে চলেছে। এভাবেই মানুষ নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং এখনো যাচ্ছে। তবে নতুন এক গবেষণায় বিস্ময়কর তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, দু-পেয়ে মানুষ এখন পর্যন্ত তার দুই পায়ে হাঁটার চূড়ান্ত শৈল্পিক রূপটাই রপ্ত করতে পারেনি। ভারতের পুর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গবেষণায় বলা হয়েছে, হাজারো বছরের চর্চার পরও মানুষ এখনো হাঁটতে শেখেনি। কাইনেসিলোজিস্টরা ৯৪ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়।

এদের সবার বয়স গড়ে ১৯ বছর করে। বয়সের সঙ্গে মানুষের হাঁটা ধীরে ধীরে কমে আসে। এ ছাড়া দুই পায়ের পরিপূর্ণ ব্যবহারে ব্যর্থতা মানুষ পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে বয়ে নিয়ে চলেছে। টানা ১৬ সপ্তাহ শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা চালানো হয়। সকালে ইমেইলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয় গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা কেউ পায়ের ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেছেন কিনা। শিক্ষার্থীরা ১৪৯৫ বার পিছলে যাওয়ার কথা জানান। আবার ৪৬ জন শিক্ষার্থী ৮২ বার পড়ে যাওয়ার তথ্য দেন। মোট ৫২ শতাংশ নমুনা থেকে এ তথ্য আসে।

৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান। ৪৮ শতাংশের পড়ে যাওয়ার কারণ ছিল পিছলে যাওয়া। ২৫ শতাংশ ভ্রমণের সময় এমনিতেই পড়ে যান। গবেষকরা লিখেছেন, অধিকাংশই হাঁটার সময় পড়ে যান। অর্থাৎ মানুষের দ্বিপদ যান্ত্রিকভাবে ভারসাম্যহীন। কাজেই মানুষের হাঁটাহাঁটি একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।

দেহের ভারসাম্য বজায় রেখে চলাচল দ্বিপদের জন্যে ঝামেলা বলেই প্রমাণ মেলে এতে। মানুষ এখনো তার দুই পায়ের চূড়ান্ত ব্যবহারের সুফল ভোগ করতে শেখেনি। অল্প সময়ের মধ্যে খুব বেশি পড়ে যাওয়া এবং আঘাত পাওয়ারা মাধ্যমে দ্বিপদকে ভারসাম্যহীন বলেই গণ্য করা যায়। যদিও কম বয়সী মানুষের কাছে পায়ের ভারসাম্য না রাখতে পেরে পড়ে যাওয়া কোনো সমস্যা নয়। হিউম্যান মুভমেন্ট সায়েন্স জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই