মানুষকে হাসানো জন্য কমেডি করা থামাবেন না সিধু
ক্রিকেটার, কমেডি শোয়ের বিচারক আর তারপরে রাজনীতিবিদ। নভোজাৎ সিং সিধুর কেরিয়ার চলছে তরতরিয়েই। পাঞ্জাবের নির্বাচনে জেতার পরে মন্ত্রিসভার সদস্যও হয়েছেন। কিন্তু স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, মন্ত্রী হলেও কমেডি করা থামাবেন না তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাঞ্জাবের বিভিন্ন সমস্যা মেটানোয় তিনি বেশি নজর দেবেন, নাকি জোর দেবেন টিভি কেরিয়ারে? সিধু সাফ জানান, টেলিভিশনে কমেডি শো করা তিনি ছাড়বেন না। এর ফলে সরকারি কাজকর্মে কোনও সমস্যা হবে না বলে তার দাবি। সিধু বলেছেন, ‘যারা আমাকে ছ’–ছ’বার নির্বাচিত করেছেন, সেই ভোটারদের যদি কোনও সমস্যা না থাকে, তবে এ নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন?’
পাঞ্জাব ভোটের ঠিক আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেসে এসেছেন সিধু। তাই সিধুকে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধীরা। আম আদমি পার্টির বিধায়ক এইচ এস ফুলকা বলেছেন, তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট উপার্জন করছিলেন। কিন্তু রীতিমতো চালু প্র্যাকটিস ছেড়ে পঞ্জাবের হয়ে কাজ করতে এসেছেন তিনি। সিধুর কাছ থেকেও সেটাই কাম্য।
অকালি দলের দাবি, অমৃতসরের সাংসদ থাকার সময়েও সিধুর নিজের কেন্দ্রের দিকে বিশেষ নজর ছিল না। যদিও সিধুর দাবি, টিভির কাজ করার জন্য জনসেবায় কোনও প্রভাব পড়বে না। সপ্তাহে মাত্র একদিন শ্যুটিং করতে হয়। বিকেল তিনটেয় যান, ফেরেন পরদিন সকাল সাতটায়। সেটাই তার একমাত্র রুজিরোজগার বলে তার দাবি।
কংগ্রেসের দাবি, সিধুর শ্যুটিং নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করছে বিজেপি, অকালি দল। কারণ সিধু যতদিন তাদের দলে ছিলেন, ততদিন এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল বিজেপি। এখন তারা বিষয়টিকে স্বার্থের সংঘাত বলে মনে করছেন। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, মন্ত্রিত্বের কাজকর্ম লঘু না করে সিধু নিজের কমেডি শো চালিয়ে যেতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের দফতর ব্যবহার না করলেই হল।
মন্তব্য চালু নেই