মানসিক অবসাদ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন ব্যাংক ম্যানেজার

অত্যাধিক কাজের চাপ এবং সেইসঙ্গে মানসিক অবসাদ— দুই-এর মাঝে পড়ে কার্যত হিমসিম খাচ্ছিলেন এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আর সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তেনে। শিলিগুড়ির গুরুংবস্তির অঙ্কিতা লজ থেকে সেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজেরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে মৃত ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের নাম জ্ঞানেন্দ্র কুমার। শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এসবিআই শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রবাবু। গত সোমবার তিনি সিকিম থেকে ট্রান্সফার হয়ে এই শাখায় ম্যানেজার পদে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

জ্ঞানেন্দ্র কুমারের আসল বাড়ি বিহারের হাসানপুরে। বাড়িতে মা, বাবা, দাদা, স্ত্রী এবং একটি শিশুসন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং প্রচন্ড কাজের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রবিবার তাঁর দাদাকে ফোন করে কাজের চাপের কথা জানিয়ে বলেন যে, তাঁর আর ভালো লাগছে না এবং এই কাজ ছেড়ে দিতে চান তিনি।

আত্মহত্যার প্রবণতার কথা জানতে পেরেই বিহার থেকে তার দাদা ধীরেন্দ্র কুমার শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আজ সকালে শিলিগুড়িতে যে লজে জ্ঞানেন্দ্র বাবু থাকতেন সেখানে এসে পৌঁছন তিনি। ঘরের দরজায় বহুবার ধাক্কা দেওয়া সত্বেও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই প্রধাননগর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করে জ্ঞানেন্দ্র বাবুর মৃতদেহ। ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটও কেটেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

আজই ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুলিশ। গোটা ঘটনায় ব্যাঙ্কের কর্মীদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।



মন্তব্য চালু নেই