মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা কি সবাই দেশ ছেড়ে চলে যাবো?
নিজেও ফেসবুক, ব্লগ, ওয়েবপোর্টাল ও সংবাদপত্রে অনেক লেখালেখি করি। গতকাল শুক্রবার জুমআর নামাজ পড়ে এসে কম্পিউটারে বসে একটি নিবন্ধ লিখছিলাম, এমন সময় হঠাৎ টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতেই দেখি রাজধানীর গোড়ান এলাকায় বাসায় ঢুকে নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় (৪০) নামে এক ব্লগারকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ২টার দিকে পাঁচতলা ভবনের বাসায় ঢুকে তাকে খুন করে নির্বিঘ্নে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। নিলয়ের অপরাধ-সে নিয়মিত ব্লগে লিখতেন।
বিস্মিত হয়েছি আশামনির কাছ থেকে তার স্বামী হত্যার বর্ণনা শোনে। আশামনি ভাষ্যমতে, দিনদুপুরে ভাড়া নেয়ার কথা বলে পাঁচতলা ভবনের বাসায় ঢুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিলয়কে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা নিরাপদে এলাকা ছেড়ে যায়। এসময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে বারবার ‘বাঁচাও, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাদেরকে বাঁচাতে।’
এর চেয়েও বেশি বিস্মিত হয়েছি মৃত্যুর আগে নিলয়ের দেয়া একটি স্ট্যাটাস পড়ে। নিলয়কে হত্যার জন্য দুর্বৃত্তরা তার পিছু নিয়েছিল অনেক আগেই। আর সেটা নিলয় নিজেই বুঝতে পেরেছিলেন। এজন্য গত ১৫ মে নিলয় নীল ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখেছিলেন। যেখানে তাকে ওই দিনই হত্যার জন্য অনুসরণ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন। ওই ঘটনার পরে থানায় জিডি করতে গেলে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিশ। আড়াই মাসেও তার জিডি নেয়নি পুলিশ। ফলে গতকাল বিকাল থেকেই আমার মনটা খুবই খারাপ। কেননা, নিজেও ফেসবুক, ব্লক, ওয়েবপোর্টাল ও সংবাদপত্রে নিয়মিত অনেক লেখালেখি করি। যেভাবে একের পর এক মুক্ত চিন্তার লেখক-ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে সেখানে আমার জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? কে দেবে আমার জীবনের নিরাপত্তা? রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার লোকেরা তো বলেই দিয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশ ছেড়ে চলে যাও।
জানি না, এভাবে আর কত খুনের কথা শুনতে হবে আমাদেরকে! একের পর এক মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যার খবর আসছে, আর আমরা সবাই কয়েকদিন প্রতিবাদমুখর হয়ে এবং লেখালেখি করে থেমে যাচ্ছি, আর ক’দিন পর ফের সেই একই খবর আসছে। সরকার ও প্রশাসন একের পর এক ব্লগার খুন হলেও পুলিশ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পারছে না। ব্লগার হত্যার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের দিয়ে একই পদ্ধতিতে ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। আর এসব বলেই দায় সারছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের পর্ও ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বললেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীরা প্রশিক্ষিত এবং অন্যান্য ব্লগারদের মতোই একইভাবে নিলয়কে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।’আর তাতেই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাও বেশ আত্মতৃপ্তি অনুভব করছেন। অন্যদিকে ব্লগার নিলয় খুনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে। তাতে কী? আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আল্লাহ মালুম, এতে আমাদের সমাজ ও সভ্যতা কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
নিলয় হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই এর দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ভারতীয় শাখা। এরআগে একইভাবে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর, অনন্ত, রাজিবসহ অন্যান্য ব্লগার হত্যার দায় স্বীকার করে তারা। অভিজিৎসহ অন্য হত্যার তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশের পাশাপাশি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইও এগিয়ে আসলেও এ পর্যন্ত কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই।
এইতো ক’দিন হলো অনন্ত ও ওয়াশিকুর রহমান বাবু নামে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। দুই হিজরার সাহসিকতায় ওয়াসিকুরের দুই খুনি হাতেনাতে গ্রেফতার হবার পর পুলিশ দাবি করেছিল- এই সূত্র ধরেই অন্য ব্লগার হত্যাকাণ্ডগুলোর রহস্য উন্মোচন করতে পারবে তারা। কিন্তু বেশ কয়েকমাস পর আজ আমরা কী দেখতে পেলাম! ফলে সহজেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে- জনগণের ট্যাক্সের বিশাল অর্থে পরিচালিত রাষ্ট্রের এই সংস্থাগুলো আসলেই কি অপরাধী চিহ্নিত করতে সক্ষম, না তাদের দুর্বলতার কারণেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে!
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আমাদের দক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা জোর দিয়েই দাবি করেন- বাংলাদেশে কায়দার কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের এই দাবি যদি সত্য হয়ে থাকে তবে আজকে আল কায়েদা নামে যে জঙ্গি সংগঠনটি ব্লগার নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করেছে তা কী ভুয়া বলে ধরে নেব, না অন্য কিছু ভাববো, তা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
আসলেই বাংলাদেশে এই সংগঠনটির তৎপরতা আছে কি, নেই। এটা স্পষ্ট করার দায়িত্বও সরকার ও প্রশাসনের। ফলে নিগঢ়ে গিয়ে তা খতিয়ে দেখা উচিত, অন্যথা বাংলাভাই তথা জেএমবির চেয়েও ভয়াবহ দশা হতে পারে। কেননা, বিগত বিএনপি জোট সরকার প্রথম দিকে বাংলাভাই-জেএমবিকে মিডিয়ার সৃষ্টি দাবি করলেও পরবতীর্তে তা রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ভাষ্য অনুসারে ধরেই নিলাম আল কায়েদা নামে কোনো জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব আমাদের দেশে নেই, ফলে ব্লগার নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করে তাদের এই দাবি ভিত্তিহীন। তবে এই হত্যা কে বা কারা ঘটিয়েছে এটা বের করার দায়িত্ব কার? মনে প্রশ্ন জাগে, প্রকাশ্যে দিবালোকে মানুষ খুন হয়, এসময় আমাদের এতো দক্ষ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কোথায় থাকেন? আর এতো ক্ষমতাধর সরকারের রাষ্ট্রযন্ত্র কী করে!
মুক্তচিন্তার লেখক হত্যার ঘটনা এটাই নতুন নয়, এর আগেও মুক্তচিন্তার বিশিষ্ট লেখক হুমায়ুন আজাদ, মুক্তমনা শফিউল ইসলাম লিলন, ব্লগার আশরাফুল ইসলাম, আরিফ রায়হান দ্বীপ, জাফর মুন্সি, মামুন হোসেন, জগৎ জ্যোতি তালুকদার, ব্লগার জিয়াউদ্দিন জাকারিয়া বাবু, ব্লগার রাজিব, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর ও অনন্ত বিজয় দাসসহ আরো অনেককে এভাবেই জীবন দিতে হয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে। প্রতিটি ঘটনার পরপরই আমাদের এক শ্রেণীর এক চোখা বুদ্ধিজীবী ঢালাওভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে দায়ি করে আসছে।
এর ফলে আমরা কী দেখলাম- কোনো হত্যাকাণ্ডেরই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। অপরাধীরা থেকে গেছে ধরা ছুঁয়ার বাইরে। এবারও পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে নিলয় হত্যাকাণ্ডের বিচারের দশা একই হবে।
বরাবরের মতোই নিলয় হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ-নিন্দা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আলোড়িত হয়েছে গণমাধ্যমেও। আন্তর্জাতিক মহলও নিন্দায় সরব। কিন্তু তাতে কী লাভ! এই হত্যার ধারাবাহিকতা কী থামবে? আর এই হত্যাকাণ্ডকে যে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করুক না কেন, জনজীবনের নিরাপত্তা দেয়ার ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র ও সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
আজ মুক্তবুদ্ধির লেখক ব্লগারদের হত্যার ধারাবাহিকতা আমাদের রাষ্ট্রের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। এ হত্যাকাণ্ডই প্রমাণ করে আমাদের সমাজ যে ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে এবং আমরা যে ক্রমেই কতটা অসভ্য হয়ে উঠছি।
একেকটি হত্যা শুধুই হত্যা, আসলেই কী ব্যাপারটি সেরকম, না, আমাদের দেশে যে অগণতান্ত্রিক চর্চা আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলে আসছে সেটারই ধারবাহিতা এই হত্যাকাণ্ড! কেননা, হত্যাকাণ্ডের পর কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই ঢালাওভাবে কোনো না কোনো পক্ষকে দায়ি করা হয়। ফলে এ হত্যা মিশন আমাদের সব নাগরিকের জন্যই হুমকি স্বরূপ। এর বিচার না হলে আরও যে হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এক দশক পেরিয়ে গেলেও হুমায়ুন আজাদ ও শামসুর রহমানের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলার বিচার না হওয়ায় আজ একের পর এক নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হচ্ছেন আমাদের তরুণ লেখক ও ব্লগাররা।
আমাদের দেশে মূলত: গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকার কারণে এই হত্যার সংস্কৃতি চলে আসছে। ভিন্ন মত দমন-নিপীড়নের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতিই এধরনের হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করছে। ফলে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হলে যেমনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা আবশ্যক, তেমনি ঘটনার পরপরই তদন্ত ব্যতিরেকে কোনো পক্ষের উপর দায় চাপানোর সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। নিরপেক্ষভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত জড়িতদের বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে সাম্প্রদায়িক তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চারের আগে সব ধরনের অগণতান্ত্রিক চর্চাকে সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সেই সাথে কারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে, কারা মুক্তচিন্তার নামের অন্যের ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানার মতো লেখালেখি করছে সেগুলোও বন্ধ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা, যে কোনো সমাজব্যবস্থায় যে কেউ তার মুক্ত চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় করতেই পারেন এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রেও কারো ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানার মতো কথা বলা কিংবা লেখালেখি করার অধিকার নেই। আর কেউ এমনটি করার চেষ্টা করলে সেটা বড় ধরনের অপরাধের মধ্যে গণ্য। তাই খুনীদের খুজেঁ বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি খুনের শিকার ওই সব নিহত ব্লগারদের লেখালেখি ও কার্যক্রমের একটি পর্যালোচনা জনসমক্ষে প্রকাশ এবং তা কারো ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানার মতো হয়ে থাকলে সে বিষয়ে সতর্কতামূলক ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা থাকা উচিত।
অন্যদিকে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ অপচেষ্টা এবং অপরাধ প্রতিরোধে তাদের সক্ষমতাকে নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হানাহানি বন্ধ করে ঐক্যের মোহনায় দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধান ও আইনের বিধি বিধান বলে রাষ্ট্র পরিচালনার পথে হাঁটতে হবে। তবেই আশা করা যায়- রাষ্ট্রে শান্তি ফিরে আসবে এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
একের পর এক ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দেবে কে? তাই আমাদের সবার দাবি অবিলম্বে ব্লগার নিলয়সহ সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুজেঁ বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্র ও সরকারের গুরু দায়িত্ব। কারো কোনো অজুহাত শুনতে চাই না, কোনো ধর্ম-মতের ভেদাভেদ বুঝি না। নিলয় বাংলাদেশী, সে আমার ভাই। সে কোনো অপরাধ করে থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হতে পারে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তার কর্মে কষ্ট পেয়ে থাকলে আইনের আশ্রয় নিতে পারতো। কিন্তু আমার ভাই নিলয়কে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যার অধিকার কারো নেই। ফলে এঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। এই সভ্য সমাজে সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে নিহত নিলয়ের রশোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশা করি। সবশেষে বলবো- পুলিশ প্রশাসন নিলয়ের জিডি না নিয়ে তাড়াতাড়ি দেশ ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছে। তাই রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন রাখতে চাই- আমরা যারা ব্লকে কিংবা অনলাইনে লেখালেখি তাহলে আমরা কী সবাই দেশ ছেড়ে চলে যাবো? না, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে নিরাপদে এই দেশে বসবাসের অধিকার আমাদেরও আছে!
লেখক: গবেষক ও কলামলেখক
মন্তব্য চালু নেই