মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার চিন্তাশক্তি কমিয়ে দেয়
আজকাল মানুষের মধ্যে চিন্তা ভাবনা করার প্রবণতা কম দেখা যায়। কেননা চিন্তা করার মত সময় কোথায়। ২৪ ঘণ্টা দিনের বেশ কিছু সময় খেয়ে ফেলে ফেসবুক কিংবা স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে গিয়ে আজকাল মানুষ বড় অসামাজিক হয়ে পড়ছে।
আজকাল মানুষের মধ্যে চিন্তা ভাবনা করার প্রবণতা কম দেখা যায়। কেননা চিন্তা করার মত সময় কোথায়। ২৪ ঘণ্টা দিনের বেশ কিছু সময় খেয়ে ফেলে ফেসবুক কিংবা স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করতে গিয়ে আজকাল মানুষ বড় অসামাজিক হয়ে পড়ছে।
মনস্তত্ববিদদের মতে, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের জ্ঞানের পরিধি এবং নৈতিকতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এসব মাধ্যমে অনবরত টেক্সট করেন তাদের চিন্তাশীল কোন কিছুতে নিজেকে নিয়োজিত করার হার কমে যায়। পাশাপাশি তারা জীবনের নৈতিক বিষয়গুলোকে কম গুরুত্ব দেয়।
প্রযুক্তিবিষয়ক লেখক নিকোলাস জি কার এর পুলিৎজার পুরস্কারে মনোনীত বই ‘দ্য শ্যালোস’ এ ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমাদের চিন্তা, পড়া এবং স্মৃতির ধরনে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই লেখক জানিয়েছেন, বিশেষত ইন্টারনেট আমাদের চিন্তাশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে। কারণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট যোগাযোগ যেমন- এসএমএস, টুইটস, মন্তব্য এবং বার্তা অত্যন্ত দ্রুতই আদানপ্রদান করা যায়। ফলে আলাদা করে চিন্তা করার প্রয়োজন পড়েনা। এ বিষয়ে ‘শ্যালোনেস হাইপোথেসিস’ নির্দেশ করে যে, সবসময় ইন্টারনেট, বহনযোগ্য বিনোদন মাধ্যমের সাথে যুক্ত থাকা এবং সবসময় ইলেকট্রনিক সামাজিক মাধ্যমের স্পর্শে থাকা নাটকীয়ভাবে দৈনন্দিন সাধারণ চিন্তাশীলতাকে নষ্ট করে দেয়।
অর্থাৎ আমরা যত বেশি সংক্ষিপ্ত এবং দ্রুত যোগাযোগ পাবো তত বেশি ক্ষুদ্র চিন্তায় অভ্যস্ত হয়ে পড়বো।
মন্তব্য চালু নেই