মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে যুগলের সঙ্গম : ক্ষুব্ধ জনতার হাতে হল মর্মান্তিক হাল
আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ সিনেমাটি রিলিজের পরে ‘ডান্সিং কার’ কথাটি বেশ জনপ্রিয় হয়। নির্জন জায়গায় পার্ক করা গাড়ি ভিতরে সঙ্গমরত যুগলের শরীরের আন্দোলনে দুলে উঠছে। ‘পিকে’র ভাষায় সেটাই হল ডান্সিং কার। সম্প্রতি তেমনই এক ‘নৃত্যরত গাড়ি’কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল গুজরাটের বাদোদরায়।
জানা যাচ্ছে, মহেশ জাদেজা এবং মণীষা কাপাডিয়া বিগত মাস ছ’য়েক ধরে প্রণয় সম্পর্কে আবদ্ধ। মহেশ অবশ্য বিবাহিত। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানও রয়েছে। তিনিই সহকর্মী মণীষার প্রেমে পড়েন। আপত্তি ছিল না মণীষারও। তিনিও বিবাহিত মহেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহীই ছিলেন।
দু’জনকে অফিস ও অফিসের বাইরে এক সঙ্গে দেখা যেত প্রায়শই। কিন্তু নিছক হাত ধরে ঘোরাঘুরি বোধ হয় সন্তুষ্ট করতে পারেনি যুগলকে। দিন কয়েক আগে বাদোদরার রুক্মিনী নগর এলাকার একটি ব্যস্ত রাস্তার ধারে মহেশ তাঁর গাড়ি দাঁড় করান। সঙ্গে ছিলেন মণীষা। জানলার কাঁচ তুলে দিয়ে কামলীলায় মত্ত হন দু’জনে।
তাঁরা ভেবেছিলেন, রাস্তার লোকজন কিছু টের পাবেন না। কিন্তু তাঁদের ধারণা ভুল ছিল। গাড়ির জানলার কাঁচ ভেদ করে দু’টি নগ্ন দেহের যে আভাস ফুটে উঠছিল, সেটাই জনতাকে উত্তেজিত করে তোলার পক্ষে ছিল যথেষ্ট। তাঁরা জোর করে গাড়ির দরজা খুলে ফেলেন। দেখা যায়, ভিতরে অর্ধনগ্ন দু’টি মানুষ কোনওক্রমে নিজেদের আব্রু রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গাড়ির ভিতর কী চলছিল, তা বুঝে নিতে জনতার সময় লাগেনি। দু’জনকে গাড়ি থেকে ওই অবস্থাতেই টেনে বার করে শুরু হয় মারধর এবং গালাগাল। যথেচ্ছ হেনস্থা করার পরে মহেশ-মণীষাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
রুক্মিনী নগর থানার পুলিশ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
ব্যাপারটা এখানেই মিটে যেতে পারত। কিন্তু সমস্যা হয়, মহেশ-মণীষার হেনস্থার ছবি কোনও ‘উৎসাহী’ দর্শক মোবাইলে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে মহেশ-মণীষার পরোক্ষ হেনস্থা চলতেই থাকে।
যদিও অনেকেই মনে করছেন, দু’টি মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্তে নাক গলানো একেবারেই উচিৎ হয়নি জনতার। আরও অন্যায় হয়েছে দু’জনকে মারধর করা। তাঁদের বিব্রত অবস্থার ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়াও ঠিক হয়নি বলে মত অনেকের।
মন্তব্য চালু নেই