মাছে ভাতে বাঙালি কথাটি যেন বাসি হতে চলেছে
মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ , দিনাজপুরের সহ চিরিরবন্দরে বিভিন্ন গ্রামঞ্চলের পরিচিত দেশীয় প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। এ অঞ্চলের খাল বিল, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছ কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
ইতিমধ্যে এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে পাবদা, সরপুঁটি, তিতপুঁটি, টেংরা, চান্দা, কৈ, শিং, মাগুর, বেলে, শৈল, গজার, বোয়াল, বাইম, চিতলসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। গ্রামঞ্চলের ছোট বড় হাট বাজারগুলোতেও এ প্রজাতির মাছ আগের মতো এখন আর তেমন দেখা যায় না। বাজারগুলোতে এ প্রাজাতির মাছের আমদানি একেবারেই কমে গেছে। জেলার চিরিরবন্দর, রানীরবন্দর সহ বিভিন্ন বড় বাজারে যাও কিছু মাছ আমদানি হয় তাও আবার চলে যায় বিত্তবানদের হাতে।
সাধারণ মানুষের কপালে এসব মাছ আর জোটে না। দেশীয় প্রজাতির প্রায় সব মাছের বংশ বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এসব স্থান দখল করে নিয়েছে বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। উপজেলার হাট বাজারগুলোতেই দেশীয় প্রজাতির মাছে ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে নদ নদী, খাল বিলসহ মুক্ত জলাশয় গুলো প্রাকৃতিক মাছ শূন্য হয়ে পরবে। বিগত এক দশক আগেও দেশী প্রজাতির প্রাকৃতিক মাছের কোনো ঘাটতি ছিল না।
গ্রামের মানুষ পাতাজাল, ধর্মজাল, বেড়াজাল ইত্যাদি দিয়ে মাছ ধরত। মাছ খেতে খেতে বিমুখ হয়ে যেত গ্রামঞ্চলের মানুষ। এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা মৎস্য অফিসের একটি সূত্র জানান, জলাশয় ভরাট, জনসংখ্যা বেড়ে যাওযায় মৎস্য আহরণের চাপ বেড়ে গেছে। অপরদিকে, সেচ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়।
জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভাবিষ্যতে হয়তো দেশীয় প্রজাতির মাছ চিরতরে হারিয়ে যাবে।
মন্তব্য চালু নেই