মাগুরা সদরের নিশ্চিন্তপুর বাজারে হামলার ঘটনার চারদিন পার হলেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ ঘটনার চারদিন পার হলেও স্বাভাবিক হয়নি মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর বাজারের পরিস্থিতি। আতংকিত দোকানীরা খোলেনি কোন দোকানপাট। গত শনিবার রাতে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসির সংঘর্ষে ৬টি দোকান ও ২টি বাড়িঘর ভাংচুর হয় ১৩ জন আহত হয়। গণ গ্রেফতার এড়াতে গোটা এলাকা পুরুষ শূণ্য ।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিন্তপুর বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাজারে অবস্থিত প্রায় ৫০/৬০টি দোকান ঘরের সব কটিই বন্ধ রয়েছে। ৬/৭টি দোকন ঘরে কোপের চিহৃ রয়েছে। তিনটি দোকান ভাংচুরের পাশাপাশি লুট হয়েছে। একটি বাবলু মিয়ার কসমেটিক্সের দোকান, মামুনের সার ও ইলেকট্রিকের দোকান ও জিয়াউর রহমানের মুদি দোকান। সেখানে পাহারারত পুলিশ ছাড়া জনমানবের কোন চিহৃ ম্ত্রা নেই।
নিশ্চিন্তপুর বাজারে ব্যবসায়ী বাবলু জানায়, রবিবার সকালে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজার মোল্যা সাবেক মেম্বর ও বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ওয়াদুদ মোল্যার সাথে গোপন আতাঁত করে বর্তমান মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আকিদুল ইসলামের লোকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। সে সময় আমার কসমেটিক্সের দোকান ভাংচুর করে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মালামাল লুটকরে নেয়। পাশাপাশি মামুন ও জিয়াউলের দোকানেও লুটপাট করে। এ ঘটানার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে আমি বা আমার পরিবার কোন প্রকার মামলা করলে আরো বড় রকমের সমস্যা হবে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হাফিজার মোল্যা বলেন, আমার ও আকিদুল মেম্বর দু’জনের সামাজিক দলেই বিএনপি আছে। ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমি জানতাম না। জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।
নিশ্চিন্তপুর বাজারে অবস্থানরত মাগুরা সদর থানার এসআই তাজুল ইসলাম বলেন- বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ইয়ারুলের দোকানে রাখা ক্যারাম খেলার জন্য হাসান নামে এক যুবক সেখানে যায়। কিন্তু ইয়ারুল তাকে খেলতে না দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতে গেলে দু’জনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কি হলে স্থানীয়রা মিমাংশা করে দেন।
ইয়ারুল চাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজার মোল্যার ও হাসান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান মেম্বর আকিদুল ইসলামের সমর্থক। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ওবাইদুর রহমান (১৬), ইকরাম মোল্যা (৪০), বাহারুল ইসলাম (৩০), নওসের মোল্যা (২৫), রবিউল ইসলাম (২২), আলি আহম্মদ(২৩), সাখাওয়াত মোল্যা (৩৬), বিল্লাল (২২)ও নিউটন (২২) কে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই