ফাইল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে
মাগুরায় সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ কর্মচারীকে পুলিশে সোপর্দ
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে ৫ লক্ষাধিক টাকা আত্বসাত ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চুরির অভিযোগে মাগুরা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ কর্মচারীকে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রধান শিক্ষক লিপিকা সরকার জানান,গত ৭ অক্টোবর স্কুলে ফাইল সংরক্ষণ কক্ষ থেকে স্কুলের চেক বই ও ফাইল চুরি হয়। এ বিষয়ে তিনি সদর থানায় জিডি করেন ও স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক দীপক কুমার রায়কে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত চলাকালে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে স্কুলের দুই এমএল এস এস অর্চণা রাণী ও জামসেদ শেখ প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। তারা প্রধান শিক্ষককে জানান, ইতিপুর্বে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে স্কুলের চেক দিয়ে কিছু টাকা ব্যাংক থেকে তুলেছেন। যা লুকাতে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্কুলের ফাইল সংরক্ষণ কক্ষ থেকে চেক বই ও সংশ্লিষ্ট কিছু ফাইল চুরি করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তি সুত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ওই ২ কর্মচারী চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে স্কুলের চেক বই নিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক টাকা তুলে নিয়েছেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে তাদের সদর থানা পুলিশে দেয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ওই দুই কর্মচারীর কাছে স্কুলের ফাইল সংরক্ষণ কক্ষের তালা চাবী থাকতো। তারা গোপনে বিকল্প চাবী বানিয়ে কিম্বা অন্য কোন পন্থায় কক্ষের ভিতরে থাকা আলমারীর তালা খুলে চেক নিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে এ টাকা তুলে নিয়েছে। তবে মোট খোয়া যাওয়া টাকার পরিমান কত তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ স্কুলের মোট ২৪ টি তহবিল আছে। এমন অনেক তহবিল আছে যার টাকা অনিয়মিতভাবে তোলা হয়। এছাড়া অনেক সময় টাকা তোলার জন্য চেক দিয়ে তাদেরকে সোনালী ব্যাংকে পাঠানো হতো। এ কারণে তাদেরকে ব্যাংকের অনেকে চেনে। ফলে এ বিষয়গুলোকে সুযোগ হিসাবে নিয়ে তারা চেকের পাতা চুরি করে তারা বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষকের সীল ব্যবহারসহ স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে আত্বসাতের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার এস আই রিয়াজুল ইসলাম জানান,ওই দুই কর্মচারীকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে টাকা ও ফাইল চুরির কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই