‘মহিলার সন্তান জন্মদেয়ার মেশিন’ বললেন সাংসদ

মুসলমান মহিলারা সন্তান জন্মদেয়ার মেশিনে পরিনত হয়েছে বলে বিরুপ মন্তব্য করেছেন এক সাংসদ। এ নিয়ে সারাদেশে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। তার এই মন্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে ‘নোটিস’ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গত সপ্তাহে ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ অঘোরনাথ মন্দিরে একটি সন্ত সভায় ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গ টেনে এই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন। এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ ধরণের মন্তব্যকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে উসকানিমূলক বলে ঘোষণা করেছে। তারপরেও একজন সাংসদ এরকম মন্তব্য করেছে। এতে করে সাক্ষী মহারাজকে তিরস্কার করে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভবিষ্যতে কোনোরকম সাম্প্রদায়িক, জাতপাত নিয়ে মন্তব্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ বলেছিলেন, ভারতের সমস্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এর অন্যতম কারণ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি। এতে লাগাম টানতে মুসলিম সম্প্রদায়ের নাম না করে পরোক্ষে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘যারা চারটে করে বিয়ে করে এবং গোটা ৪০ বাচ্চার জন্ম দেয়, তিন তালাক প্রথার পক্ষে ওকালতি করে, মহিলাদের মান মর্যাদার পরোয়া না করে তাঁদের সন্তান জন্মদানের মেশিনে পরিণত করে, তাঁরাই এ জন্য দায়ী। এটা চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের উচিত এর বিহিত করা।’

তিনি বলেন, এর জন্য কড়া আইন প্রণয়ন করা জরুরি। তাই রাজনীতির ঊর্ধে উঠে সব দলকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভারতের ভৌগলিক আয়তন বাড়েনি অথচ জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটির বেশি। এ জন্য হিন্দু সম্প্রদায় দায়ী নয়, দায়ী ঐ সম্প্রদায়।

আগেও অন্য এক প্রসঙ্গে উনি বলেছিলেন, কোনো মুসলিম ছেলে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করলে হিন্দু ছেলেও মুসলিম মেয়েকে নিকা করবে।

ভারতে সাম্প্রদায়িকতা একটি মারত্বক ব্যাপার। সংখ্যাগরিষ্ঠ এই হিন্দু দেশে মুসলমানরা বরাবরই সাম্প্রদায়িকতার শিকার হয়েছে। গুজরাটের দাঙ্গার কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়।



মন্তব্য চালু নেই