মশালের মালিক হাসানুল হক ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নির্বাচনী প্রতীক মশাল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর অংশের বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিটি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে অপর অংশকে (বাদল-আম্বিয়া) বলে দেয়া হয় মশালের মালিক আপনারা না।
জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দু`ভাগ হয়ে যায় দলটি। সংসদ সদস্য শিরিন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করার বিরোধিতা করে ১২ মার্চ কাউন্সিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে বেরিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষণা করে দলটির একটি অংশ। শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় এই কমিটিতে। এই কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল।
এরপর ইসির কাছে মশাল প্রতীক দাবি করে দুই পক্ষই। সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তারের গ্রুপকে মশাল প্রতীক দিল ইসি।
হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ১১-১২ মার্চ, ২০১৬ অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি গঠন করে যেহেতু হাসানুল হক ইনু সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির নির্বাচন সদস্যগণের তালিকা এবং কাউন্সিলের কার্যবিবরণীর কপি নির্বাচন কমিশনের অবগতির জন্য প্রেরণ করেছেন সেহেতু তাদের অনুকূলে মশাল প্রতীক বহাল রাখা হলো।’
শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান বরাবর আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং নাজমুল হক প্রধান এম.পি কর্তৃক জাতীয় কাউন্সিল সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর গঠনতন্ত্র অনুসারে না হওয়ায় রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ এর ৯ বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল না করায় এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের করণীয় কিছু নাই।’
এর আগে দুই পক্ষ মশালের দাবি করলে গত ৬ এপ্রিল দুই পক্ষের শুনানি করে ইসি।
মন্তব্য চালু নেই