মলের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে হাতির সংখ্যা নির্ণয়

উত্তর-পূর্ব ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে হাতি গণনার কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের এই হাতি গণনায়তে অংশ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাতি সুমারি প্রতি দুই বছর অন্তর হয়ে থাকে। শেষ ২০১৪-তে হয়েছিল এই হাতি সুমারি।

এই বছরের হাতি সুমারিতে বিশেষ পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করা হবে হাতির মলের ডিএনএ পরীক্ষা। সুমারি শেষে সংগৃহীত মলের নমুনা নিয়ে যাওয়া হবে হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার ও মলিকিউলার বায়োলজিতে।

বনদফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডিরেক্ট সাইটিং কাউন্টিং, ব্লক কাউন্টিং ছাড়া হাতির মলের ডিএনএ টেস্ট, এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে এ বার হাতি সুমারির কাজ চলছে।

ডাইরেক্ট সাইটিংয়ের ক্ষেত্রে হাতিকে কাছে আনার জন্য পানি ও লবণের ব্যবহার করা হয়। খেতে এলেই সরাসরি হাতিদের গুণে নেওয়া হয়। ব্লক কাউন্টের ক্ষেত্রে জঙ্গলের এলাকাগুলিকে বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করে নেওয়া হয়। তার পর সেখানে আগত হাতিদের গণনা শুরু হয়।

প্রতি দুই থেকে তিন কিলোমিটার অন্তর যে ব্লক গুলি রয়েছে, সেখান থেকে হাতির মলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই মলের নমুনা সংগ্রহের সময়, মল কতটা নতুন বা পুরোনো সেটাও দেখা হয়।

সূত্র : কলকাতা টুয়েন্টিফোর



মন্তব্য চালু নেই