মরদেহ শনাক্তে সীতাকুণ্ডের পথে জঙ্গিদের অভিভাবক

চট্টগ্রামের প্রেমতলার জঙ্গি আস্তানা ছায়ানীড় ভবনে অভিযানে নিহত জঙ্গি কামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী জোবাইদা এবং শিশু সন্তানের মরদেহ শনাক্ত করতে সীতাকুণ্ডে যাচ্ছেন তাদের অভিভাবকরা।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার যৌথখামার এলাকার নিজ বাস ভবন থেকে তারা রওনা দেন।

স্ত্রী জোবাইদার বড় ভাই জিয়াবুল হক জানান, বোন জোবাইদা এবং জামাতা কামাল উদ্দিনের মরদেহ শনাক্তকরণের জন্য উভয় পরিবারের অভিভাবক হিসেবে তাদের বাবাকে পাঠানো হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা রওনা হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বোন জোবাইদা এবং জামাতা কামাল উদ্দিনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা লজ্জিত।

মরদেহ গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে উত্তরে জিয়াবুল হক বলেন, আমি মরদেহ গ্রহণ করবো না। তবে পুলিশের নির্দেশে বাবাকে পাঠানো হয়েছে মরদেহ শনাক্তকরণের জন্য। পরিস্থিতিই বলে দিবে মরদেহ গ্রহণ করবে কি করবে না।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারি তদন্ত কর্মকর্তা আবু মুসা বলেন, মরদেহ শনাক্তকরণ আর নিহতদের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য নিহতদের অভিভাবকদের সীতাকুণ্ড থানায় পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার ও পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই