মন্দিরে হামলা চালিয়ে মুর্তির মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা

লালমনিরহাটে শ্রীশ্রী শ্মশান কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দির ভাংচুর করে কালী দেবী মুর্তির মাথা কেটে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত দুর্র্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোররাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৯২৭ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে বোর্ডঘড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ওই গ্রামে বসবাসকারী অর্ধ শতাধিক হিন্দু পরিবারের লোকন ভীতস্থ ও আতংকিত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্ভয়ে শান্তিতে বসবাস করার আহ্বান জানান।

Lalmonirhat Goddess Image-01 (3)

হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, তারা গত কয়েক বছর ধরে ওই মন্দিরে কালী দেবীর পুজার্চনা করে আসছেন আর এর আগে কোনদিনই এমন ঘটনার মুখোমুখি হননি তারা। বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরে পুজা দিতে গিয়ে তারা কালী দেবীর মুর্তিকে মস্তকহীন দেখে চমকিত হয়ে উঠেন বলে তারা জানান।

ওই মন্দির কমিটির সভাপতি অবিনাথ চন্দ্র রায় জানান, টিনশেড শ্রীশ্রী শ্মশান কালী মন্দিরের বেড়া ভাংচুর করে মুর্তি ভাংচুর ও কালী মুর্তির মস্তক কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তারা চিন্তিত ও আশংকাগ্রস্থ। বিষয়টি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের অবহিত করা হয়েছে এবং নিজেদের মথ্যে আলোচনা করেই তারপর মামলা মোকদ্দমার দিকে যাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামানিক বলেন, মন্দিরে এরকম ঘটনায় তিনি আশংকাগ্রস্থ ও লজ্জিত। তিনি স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে এসে দাড়িয়েছেন এবং তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। বিসয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছেন এবং তিনি এ বিষয়ে সিরিয়াস ভুমিকা রাখার নির্দেশও দিয়েছেস বলে তিনি জানান।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলাম জহির জানান, ব্যাপারটি শুনেই তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশকে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। মন্দিরে হামলা ভাংচুর ও দেবী মুর্তির মস্তক কেটে যাওয়ার মতো ঘৃন্য অপরাধের সাথে জড়িত দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোরও দৃষ্টান্তুমুলক ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহন করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই