মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ

তফসিল অনুযায়ী, পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হবে আজ।

শনিবার নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানানো হয়, এবারের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ১ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এতে দলীয় প্রার্থী ছিল ৭১০ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫০৩ জন। যাচাই-বাছাইয়ের সময় ৩৯ জন দলীয় প্রার্থী এবং ১১৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এখন বৈধ দলীয় প্রার্থী ৬৭১ জন এবং বৈধ স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৮৫ জন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২৩১ জন, বিএনপির ২২৪ জন এবং জাতীয় পার্টির ৮৫ জন।

অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়পত্র দাখিল করেছিলেন ১৩ হাজার ৬২৬ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ৮৯৮ জনের। মোট বৈধ কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৫১৩ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯ হাজার ১৫৯ জন প্রার্থী বৈধ হয়েছেন।

শনিবার নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব রাজিব আহসান বলেন, আগামীকাল (আজ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিনই আসলে আমরা বলতে পারব, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মোট কতজন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। কারণ, কিছু রাজনৈতিক দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছে। তাই অনেকেই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।

এদিকে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার কথা জানানো হয়।

পৌরসভা নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের বাইরে প্রায় অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে টিকে যায়। দলের দেওয়া আলটিমেটামের পরে তাদের অর্ধেকের বেশি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।

এর পর গত শুক্রবার মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, আজ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যারা আজকের মধ্যে প্রত্যাহার করেননি তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। ১৩ তারিখের পর তাদের প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং পরে আজীবন বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই