গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় সেই মোস্তফা দারোগাকে গণধোলাই
গভীর রাতে আসর বসিয়ে মদ্যপান করার অভিযোগে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার এক এএসআইকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে রক্ষা করেছেন। গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কাকিনা বাজারে গোলাম মোস্তফা নামে ওই এএসআইকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতরাতে উপজেলার কাকিনা বাজারের আঙ্গুর নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে বসেছিল মদের আসর। যেখানে এএসআই মোস্তফাসহ উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েকজন। ওই আঙ্গুরের বিরুদ্ধেও দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করা স্থানীয় লোকজন পরে সেখানে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে মোস্তফাকে গণধোলাই দেয়। পরে সেখানে উপস্থিত হন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু, কাকিনা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। পরে তাদের উপস্থিতিতে কয়েক শ মানুষের সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে রক্ষ করেন ওই এএসআই। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আরেক দফা উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়তে হয় ওই দারোগাকে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু বলেন, “গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন- ওসির এমন আশ্বাসের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মঞ্জুর হোসেন জানান, রাতেই বিষয়টি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছেন, এএসআই মোস্তফার সর্ম্পক শুধু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সঙ্গে। তিনি নিজেই যে শুধু মাদক সেবন করেন তা-ই নয়, সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতও রয়েছেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই