মঙ্গল গ্রহে চাকরি করবেন? আবেদন করুন নাসায়…

মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দনের খোঁজ চলছে বহু বছর ধরে। এককালে সেখানে যে প্রাণের স্পন্দন ছিল তাও দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গল গ্রহের বহুস্থানে জলের রেখাও মিলেছে। একদল গবেষক তো দাবি করেছেন, মঙ্গলে সুনামিও হয়েছিল।

মাথায় হাত। চাকরিটা এবার থাকলে হয়। এই বয়সে বেকার হলে স্ত্রী-সন্তানকে কী খাওয়াবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। আবার, আরএকজনের অফিসে মাইনে নিয়ে ঢিলে-ঢোলা অবস্থা। এমাসে আগের মাসের ১০ শতাংশ মাইনে তো পরের মাসে পাঁচ শতাংশ। এভাবে কি চলা যায়? বাড়ির ইএমআই থেকে পার্সোলেন লোন বা ছেলেটা-মেয়েটার পড়াশোনার খরচা আসবে কোথা থেকে?

আপাতত, চিন্তা দূরে সরিয়ে ফেলুন। কারণ, নাসাতে অসংখ্য চাকরি আছে। এই মর্মে বিজ্ঞাপনও দিয়েছে নাসা। শিক্ষক থেকে সার্ভেয়ার, চাষি, সাংবাদিক সব ধরনের চাকরি আছে নাসার কাছে। তবে কর্মস্থল শুনে পিছিয়ে যাবেন না। পৃথিবীতে নয় আপনাকে চাকরি দেওয়া হবে মঙ্গলগ্রহে।

মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দনের খোঁজ চলছে বহু বছর ধরে। এককালে সেখানে যে প্রাণের স্পন্দন ছিল তাও দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গল গ্রহের বহুস্থানে জলের রেখাও মিলেছে। একদল গবেষক তো দাবি করেছেন, মঙ্গলে সুনামিও হয়েছিল। ফলে, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে মানুষের বাসস্থানের ক্ষেত্রে মঙ্গল অনেকটাই এগিয়ে। এই অবস্থায় মঙ্গলে আগামী দিনে মনুষ্য সভ্যতা গড়ে তুলতে সেখানে বিশালমাত্রায় কর্মযোগ্য চলবে।

এই আশাতেই এখন থেকে তৈরি হচ্ছে নাসা। আর সেই কারণে, আপাতত চাকরির আবেদনপত্র চাওয়া হচ্ছে। এই আবেদনপত্র থেকে বাছাই করে তৈরি হবে প্যানেল। সেই অনুযায়ী মিলবে নিয়োগপত্র।

ভিনগ্রহে কাজের জন্য লোক পাওয়া যে চাট্টিখানি ব্যাপার নয় তা মানছে নাসা। তাই নিয়োগ বার্তার ক্যাপশনগুলোকে যতটা সম্ভব আকর্ষণিয় করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে মঙ্গল থেকে আকাশটা কেমন দেখতে লাগে তার একটা কাল্পনিক ছবিও।

নাসা ইতিমধ্যেই মঙ্গলকে ঘিরে ‘স্পেস ট্যুরিজম’ চালু করেছে। আপাতত তাঁদের লক্ষ মঙ্গলে কলোনি তৈরি। ২০৩০ সালের মধ্যে এই কলোনি তৈরি কাজ সম্পূর্ণও করতে চায় নাসা।

কি যাবেন নাকি মঙ্গলে চাকরি করতে? তাহলে ভরে ফেলুন নাসার দরখাস্তটা।



মন্তব্য চালু নেই