মংলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুদ্ধজাহাজসহ নৌবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ খুলনা আসছেন।

এরই অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে মংলায় পৌঁছান তিনি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নৌবাহিনী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দিগরাজ নৌ-ঘাঁটিতে নৌ-বাহিনীর নতুন জাহাজ কে জে আলী, সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার কমিশনিং এবং নবনির্মিত এলসিটি-১০৩ ও এলসিটি-১০৫ এর সংযুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মংলায় অবস্থান শেষে প্রধানমন্ত্রী খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

হেলিকপ্টারে যোগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তিনি খুলনার খালিশপুর নৌবাহিনীর বিএনএস তিতুমীর ঘাঁটিতে অবতরণ করবেন। সেখান থেকে সড়কপথে শিপইয়ার্ডে যাবেন। সেখানে দেশের মাটিতে নির্মিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ লার্জ পেট্রল ক্র্যাপ্ট (এলপিসি) নির্মাণ কাজ, নৌ-বাহিনী নির্মিত দু’টি কন্টেইনারবাহী জাহাজও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তার।

জানা গেছে, এটাই হবে দেশে নির্মিত প্রথম যুদ্ধজাহাজ। পরে প্রধানমন্ত্রী সামরিক কর্মকর্তা ও সুধীজনদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।

বাসস জানায়, বৃহৎ পেট্রোল কার হিসেবে এলপিসি দুটি ৭৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় নির্মিত হবে এবং তা ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কেএসওয়াই-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান তারেক বলেন, সর্বোচ্চ ২৫ নট গতি ও ৬৭৪ টন পূর্ণ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই এলপিসি ০১ঢ৭৬.২ এমএম সিঙ্গেল ব্যারেল গান, ০১ঢ৩০ এমএম সিঙ্গেল ব্যারেল গান, ০২ঢ ট্রিপল টিউবার ট্রাকিং রাডার, দিন ও রাত নির্ণয়ের একটি যন্ত্র এবং একটি হল মাউন্টেড সোনার সজ্জিত থাকবে।

তিনি বলেন, এই এলপিসি’র শত্রু সাবমেরিন ডিটেক্ট, আইডেন্টিটিফাই, ট্র্যাক, এনগেজ ও আক্রমণের সক্ষমতা থাকবে। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে এর কোস্টাল পেট্রোল ও কনস্টেবুলারি ডিউটির সক্ষমতা থাকবে। এ ছাড়া ৬৪.২ মিটার দীর্ঘ এই এলপিসি ৭০ জন ক্রুসহ ১০ দিন সাগরে থাকতে পারবে। গত বছরের ৩০ জুন এলপিসি দুটি নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চায়না ওয়্যারশিপ বিশেষজ্ঞরা এই নির্মাণ কাজে কারিগরি সহায়তা দেবে। এর ডিজাইন চূড়ান্ত হয়েছে এবং ইঞ্জিনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করা হবে।

বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন ।

প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও এস এম কামাল হোসেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের ২ হাজার সদস্য মাঠে রয়েছে। র‌্যাবের ৮টি টিম নিরাপত্তা কাজে যোগ দিয়েছে। নৌপথের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কোস্টগার্ড।

দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় প্রথম সফর। এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি খুলনায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



মন্তব্য চালু নেই