ভয়ঙ্কর সেই রাতের স্মৃতি মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন কিশোর
তাও নয় নয় করে ৫ বছর হতে চললো, অথচ আজও কিশোরকে তাড়া করে বেড়ায় সেই রাতের বিভীষিকা৷ বাড়িতে একাই ছিল কিশোর৷ মা গিয়েছে দেশের বাড়িতে৷ দাদুর অবস্থা খুবই খারাপ৷
একে তো ডায়াবেটিস, তার উপরে লিভারের প্রবলেম৷ ক’দিন আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন৷ এখনও বিছানায়৷ মা বলছিল শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাকি মেজাজও খিটখিটে হয়ে গিয়েছে বুড়ো মানুষটার৷
নেহাত পরীক্ষা চলছে, নাহলে কিশোরও যেত৷ ভেবেছিল দুই দিন পর পরীক্ষার হয়ে গেলে গিয়ে দেখে আসবে৷ এই ভেবেই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিল সেদিন৷ ঘুমের মধ্যেই তার মনে হল যেন একটা কঙ্কালসার হাত এগিয়ে আসছে তার দিকে৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলাটা চেপে ধরল হাতগুলো৷
দম আটকে আসতে লাগল কিশোরের৷ আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল ছাড়া পাওয়ার৷ কিন্তু, বরফের মতো কঠিন সেই হাত৷ উপায় না দেখে শেষে সৃষ্টিকর্তার নাম নিতে শুরু করে কিশোর৷ হাতটা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়৷ চোখ খুলে কিশোর বুঝতে পারল, শীতের রাতেও দরদর করে ঘামছে সে৷ বালিশের পাশ থেকে হাতঘড়িটা নিয়ে দেখল রাত তখন ১২:২০৷
কোনওমতে পরীক্ষা শেষ হল কিশোরের৷ কলেজ থেকেই রওনা দিল গ্রামের বাড়িতে৷ ভাবল সেই রাতে দুঃস্বপ্নই দেখেছে হয়তো৷ কিন্তু, গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেই যেন মাথায় বাজ পড়ল কিশোরের৷ দাদু মারা গিয়েছেন৷ সময়টা রাত ১২:২০!
মন্তব্য চালু নেই