ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি

৫ জানুয়ারি প্রধান দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী আহমেদ একথা জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহের প্রতি নজর রাখতেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভয়ঙ্কর আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। নেতাকর্মীদের বিএনপি অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে কার্যালয় কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। রাতে বিএনপি অফিসের গেট ভেঙে কারা যেন ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এতে অফিসের কর্মরত সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। শুধু বিএনপি অফিস নয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।’

২০ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবেই জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমি গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘ, রাষ্ট্রপতি, আইনজীবী ,সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

রিজভী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি, বলেছে পরে জানাবে। আমাদের একটা কিছু করতে হবে। সে অর্থে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ হবেই। আওয়ামী লীগ ১৬টি জায়গায় সমাবেশ করবে। আর আমাদের একটি জায়গায়ও করতে দিবে না। এটাই তাদের গণতন্ত্রের পাথর্ক্য।’

রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে সরকার বলছে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যে সন্ত্রাসের চিত্র ফুটে উঠেছে। সরকার প্রথমে ১ জায়গায় সমাবেশের কথা বললেও এখন বলছে ১৬ জায়গায় সমাবেশ করবে এটা রহস্যজনক। এটি সরকারের একটি চক্রান্ত।’

বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘র‌্যাব পুলিশ বাদ দিয়ে এলে দেখা যাবে জনগণ কাদের সাথে আছে। সরকার জনবিছিন্ন হয়ে দমন পীড়ন নীতি প্রয়োগ করছে। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষত বিক্ষত করে পতন ঘটাবে এবং সরকার তখন নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।’



মন্তব্য চালু নেই