ভোলা-লক্ষীপুর মহাসড়ক রক্ষায় অবশেষে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু

গত কয়েক দিনের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে অবশেষে আজ দুপরে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহা সড়ক সহ ইলিশা ফেরিঘাট ও ৩ ইউনিয়নকে রক্ষায় বালুভর্তি জেও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং ( ফেলতে) শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাস্কফোর্স টিম।

ওই টেমের প্রধান কাজী তোফায়েল আহেম্মদের নেতৃত্বে টিম এসে পৌঁছান। চাঁদপুর থেকে মোটা দানার বালি এনে তা ব্যাগে ভরে ফেলা হচ্ছে। ইলিশা ফেরিঘাটের মসজিদের মোড় এলাকায় প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার ব্যাগ ফেলা হবে। তবে আরো ৫০ হাজার ব্যাগ ফেলার দাবিতে আজও এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দাবি জানায়। ঈদের দিন থেকে হঠাৎ করেই উজানের পানির চাপে ইলিশা ফেরিঘাট সড়কসহ বিস্তীর্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে এলাকার শত শত মানুভ ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।

৪ দিন আগে বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভাঙন এলাকা পরিদশর্ন করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। বানিজ্যমন্ত্রী তাৎক্ষনিক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে এলাকার ভয়াবহতা তুলে ধরে যোগযোগ করেন। এর পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেন বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ। এদিকে গতকাল ভাঙন রোধে কাজ করার সময় টাক্সর্ফ্সো প্রধান কাজী তোফায়েল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন সরকার, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

এ দিকে এ রুটে দেশের দক্ষিন ও পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার হাজার হাজার মানুষ সহজ যোগাযোগের জন্য যাতায়াত করে থাকেন । উল্লেখ্য, ভোলা-লক্ষীপুর মহা সড়কে ভাঙ্গনেরর ভয়বহতা নিয়ে মাছরাঙ্গাটিভিতে একাধিক প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই