ভোলায় ৯৪টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজার চলছে প্রস্তুুতি

দেশের সর্ব দক্ষিনের দ্বীপ জেলা ভোলার মন্ডপে মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজার চলছে প্রস্তুুতি। এবছর জেলার ৭টি উপজেলায় ৯৪টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে জেলার অধিকাংশ পূজামন্ডপের প্রতীমা গড়ার মূল কাজ শেষ পর্যায়ে হয়েছে। এখন মন্ডপগুলোতে প্রতিমা রং করার কাজে চলছে ব্যস্ততা।

বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গাৎসবে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। এরপরও থেমে নেই কোন আয়োজন। হাতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। তাই রাত-দিন চলছে মন্ডপগুলোতে প্রতিমা বিভিন্ন রকমারী আলোক সজ্জার সাজানো হবে মন্ডপ ও তার আশপাশ। চলছে সাজ-সজ্জার ধুম। সবমিলিয়ে উৎসবের রঙে সাজছে

ভোলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ পর্যায়ে কোন কোন মন্ডপে চলছে রংতুলির কাজ, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপে চলছে উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুুতি। আবার কোথাও চলছে সাজ-সজ্জা, প্যান্ডেল ও ডেকোরেশনের কাজ। অপরদিকে চলছে কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা-কাটায় সরগরম বিপণীবিতানগুলো।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলার ৯৪টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৩টি, দৌলতখাঁন উপজেলায় ৬টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১২টি, লালমোহন উপজেলায় ১৬, চরফ্যাশন উপজেলায় ০৮টি ও মনপুরা উপজেলায় ৯টি।

বিগত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরীতে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা।
রাজবাড়ি, ফরিদপুর থেকে আসা প্রতিমা তৈরীর ভাস্কর শিল্পী বিষ্ণু তিনি জানান, এবছর তিনি ভোলা জেলায় ৫টি প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছে। এর মধ্যে সর্বচ্চো ৯২ হাজার ও সর্বনিম্ম প্রতিমা তৈরীর মজুরী ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন।

গত বছরের তুলনায় এ বছর রং, মাটিসহ সব জিনিষের দাম ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে ভোলা পাঁচ তহবিল সার্বজনিন পূজা মন্ডপের সাধারন সম্পাদক শাওন দেবনাথ ও অনুজ কাহালীর মাঠ দূর্গা পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক সজল দেবনাথ বলেন, পূজা পালনের জন্য সরকারি অনুদান বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

এব্যাপারে ভোলা জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গোরাঙ্গ চন্দ্র দে বলেন,
দূর্গা পূজা পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার থেকে কিছু অনুদার আমরা পেয়ে থাকি। তবে তা অতি সামান্য। এবছর আমরা সরকারের কাছে অনুদান বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি।

অপরদিকে ভোলা জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গার অকালবোধন শুরু হবে। পূজাকে সামনে রেখে পূজা উদযাপন পরিষদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবককর্মী নিয়োগ করা হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে
ভোলার ৭ উপজেলার থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজা চলাকালীন
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মন্ডবসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গাউৎসব পালনে পুলিশের সকল প্রকার সহযোগীতা করবেন পুলিশ সুপার।



মন্তব্য চালু নেই