ঘূর্ণিঝড় কোমেন

ভোলায় সতর্ক করে মাইকিং, আতঙ্কে উপকূলবাসী

ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরায় উপজেলার নদীতে ঘূণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার রাত ১০টা থেকে এ ঝড় শুরু হয়। এতে ২ উপজেলার দুর্গম এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে মাইকিং করা হয়ে।

এদিকে, চরফ্যাশনে থেমে থেকে ভারী বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। অনেকে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করে।

সাগর উপকূলের কুকরী-মুকরী ও ঢালচরে আকস্মিক জোয়ারে নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। এখনো মাইকে ও সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে তোলা হচ্ছে মানুষকে।

ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম পাটোয়ারী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী ও সাগর মোহনা। নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে শত শত নৌকা ও ট্রলার। তবে এখনো অনেকে তীরে ফিরে আসতে পারেনি।

মনুপরা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভয়াবহ ঝড় বইছে উপজেলাজুড়ে। এতে দূরবর্তী চর ও দুর্গম এলাকা বিশেষ করে কলাতলী, ঢালচর, চর নিজামসহ বিচ্ছিন্ন এলাকা মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ আলী জানান, ঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাচ্চাসেবী সংগঠগুলোকেও।

অপরদিকে, রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলা সদরেও ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বর্ষণ চলছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বাতাস বইছে, এখনো কোথাও কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই