ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ২ মাস পর ইলিশ শিকার শুরু করেছে জেলেরা

দুই মাসের ইলিশ মাছ শিকারের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে শুরু হয়েছে ইলিশ শিকার।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার ভোর থেকেই ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া এই দুই নদীতে ব্যস্ততা শুরু হয় জেলেদের। দুই মাসের বেকারত্ব শেষে এদিন ভোর থেকেই নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে লক্ষাধিক জেলে মাছ শিকারের উদ্দেশে নৌকা ও জাল নিয়ে নদীতে নামেন।

এদিকে, জেলেদের মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে মৎস্যঘাটগুলো। ঘাটগুলোতে ইলিশ পাইকার, আড়ৎদার ও জেলেদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে। নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে, ঋণগ্রস্ত জেলেদের সংকট ঘুচে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জেলেরা। মৎস্য আড়ৎদার সফি জানান, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, সামরাজ, চর পাতিলাসহ এলাকার অন্তত ১০টি মৎস্যঘাট থেকে হাজার হাজার জেলে জাল ও নৌকা নিয়ে মাছ শিকারের উদ্দেশে নদীতে নেমে পড়েছেন। তাদের সবারই লক্ষ্য মাছ শিকারের টাকা দিয়েই যত সংকট দূর করে ঋণ পরিশোধ করার।এদিকে ভোলার ইলিশার আড়ৎদার আকবর আলী বলেন,বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে ঘাট থেকে অনেক জেলে নদীতে মাছ শিকারে গেছেন। সকালে কয়েক ঝুড়ি মাঝারি সাইজের ইলিশ ঘাট থেকে বিক্রি হয়েছে। তবে নদীতে মাছের আমদানি একটু কম।

মৎস্য অফিস ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে সব ধরনের মাছ শিকারের সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এতে জেলার নিবন্ধকৃত ৮৮ হাজার ১২৮ জেলেসহ লক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে, নিবন্ধনকৃত ৮৮ হাজার ১২৮ জন জেলে থাকলেও নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষে চাল বরাদ্দের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয় ৫৫ হাজার ১৫০ জেলের।কিন্তুু বাকি ৩২ হাজার ৯৭৮ জেলের ভাগ্যে চাল জোটেনি। তবে তালিকায় যাদের নাম উঠেছে তাদের মধ্যেও এখনো অনেকে চাল পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক বলেন, পর্যায়ক্রমে সব স্থানেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই