ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিভিন্ন মেয়াদে ৫০জনের সাজা ও জরিমানা আদায়
ভোলায় প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে মোবাইল ফোন বন্ধ করতে না পারায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অসাধু উপায় অবলম্বনের দায়ে ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট।শুক্রবার বিকাল ৩টায় ভোলার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।
এছাড়া কেন্দ্রের চারপাশে পুলিশী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি না করায় প্রায় সকল পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে এবং এসএমএস ও কানে ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর চলে আসে বাহির থেকে। যে কারণে অনেকেরই ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় বলে পরীক্ষার্থীরা জানান।
শুধু তাই নয় কেন্দ্রের চারপাশে মোবাইল ব্যবহারকারীরা এসএমএস দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের পরীক্ষার্থীদের। শহরের এক পরীক্ষার্থী মাত্র ২০ মিনিটে তার পরীক্ষা শেষ করে বের হয়ে আসে। বাইরে কড়া নিরাপত্তা থাকলেও ভিতরে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটদের চোখ এড়িয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকল করে নিরাপদে। আর এর মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটগণ ওবায়দুল হক মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ জনকে মোবাইলে এসএমএসসহ আটক করে। তবে কিছুক্ষণ পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কোন ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়াই।
অপরদিকে মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে নকল করার সময় হাতে-নাতে আটক হয় ৫০জন পরীক্ষার্থী। যাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে এক লাখ টাকা।এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা বলেন, মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে নকলসহ আটক করায় ৫০ জনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী অশংগ্রহণ করেন।
মন্তব্য চালু নেই