জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে

ভোলায় নদী ভাঙ্গন ও ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরন

ভোলা ইলিশার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০হাজার মানুষ। এছাড়া উত্তাল মেঘনার ঢেউ আর উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে জেলার নিন্মাঞ্চলসহ প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৩০গ্রাম । আর মেঘনা নদীর ভাঙ্গন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে পরেছে।ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে মেঘনা নদীর পানি ঢুকে বহুগ্রাম প্লাবিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার হাজারো সাধারন মানুষ। ফলে সৃষ্টি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। চলছে ত্রানের জন্য হাহাকার ।

এমন অবস্থায় অসহায় পানিবন্দিও নদী ভাঙ্গা মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে জেলা প্রশাসান ও উপজেলা প্রসাশন।রবিবার বিকাল থেকে সদর উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার রাজাপুর ও ইলিশার ৫০০শতাধিক মানুষের মাঝে তারা ত্রান বিতরন করে । এসময় রাজাপুর ও ইলিশার নদী বাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজাপুর ৩৯০ও ইলিশার ১১০ জন পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল,নগদ আটশত টাকা,১কেজি করে চিড়া,২৫০ গ্রাম গুড় বিতরন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় এই ত্রান বিতরন করা হয়। ত্রান বিতরন কালে উপস্তিত ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তোফায়েল হোসেন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস,সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: কামাল হোসেন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ এসময় উপস্তিত ছিলেন।

ত্রান বিতরন শেষে সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: তোফায়েল হোসেন সাংবাদিক দের বলেন, যারা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে ইতিমধ্যে সেইসব পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ২০টন চাল (জিআর)ও নগদ ১লক্ষ টাকা (জিআার)বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়্ওা উপজেলা প্রশাসন থেকে ২লক্ষ টাকা প্রদান এর পাশাপাশি ১কেজি করে চিড়া,২৫০ গ্রাম গুড় বিতরন করা হয় প্রত্যেক পরিবারের মাঝে। এসময় তিনি আগামীতে আরো রিলিপ কার্যক্রম জোরধার করা হবে বলে জানান। সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ভোলা একটি গ্যাস সমৃদ্ধ একটি জেলা ।

এই গ্যাসকে কেন্দ্রকরে ইতিমধ্যে এখানে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কিন্তু অব্যাহত নদী ভাঙ্গনের কারনে তা হুমকির মধ্যে পরে যাচ্ছে। আর নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা জন্য ইতিমধ্যে ভোলার কৃতি সন্তান বানিজ্য তোফায়েল ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল হক মাহামুদ ঘুরে দেখে গেছে।

এখন নদী বাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য দরকার জ্ওি টিউব ও সিসি ব্লক। আমরা আশা রাখি পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত তা ফেলে ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করবে। এসময় তিনি বলেন নদী ভাঙ্গনে ক্ষতি গ্রস্ত পরিবারকে থাকার জন্য বর্তমান সরকার এর পক্ষ থেকে ৬ একর জায়গা দেয়া হয়েছে। এরপাশাপাশি ত্রান্ও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই