ভোলায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, আ’লীগ অফিস ভাংচুর, আহত-২০
ভোলার লালমোহনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত্ ২০ জন আহত হয়েছে । বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরগর ইউনিয়নের মঙ্গল সিকাদার বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ও হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগের দুইটি অফিসও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এতে স্থানীয় বাজার ব্যাবসায়ী ও পূজা মণ্ডপে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজানা বিরাজ করছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগকর্মী আসিফকে মারধর করেন প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ।
এঘটনায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধার সাথে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর ভাই যুবলীগের সভাপতি আলমগীরের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জরিয়ে পরে।
এসময় মিন্টু গ্রুপরা হুমায়ুন মৃধা গ্রুপের নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের দুইটি অফিসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ছবি সহ অফিসের টিভি, আসবাব-পত্র, ২টি মোটরসাইকেল ও পাশ্ববর্তী সামছুদ্দিন মাঝির ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর করে এসময় ইসমাইল, জামাল, আব্বাস, মান্নান, জুয়েল, মহাসিন, অপু, মোসলেউদ্দিন, সামছুদ্দিন ও জসিম সহ অন্তত্য ২০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে লালমোহন থানা ও মঙ্গল সিকদার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছন।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন (উত্তর) ছাত্রলীগের সভাপতি মান্নান মৃধা জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মিন্টু চেয়ারম্যান নেতৃত্বে তার ভাই আলমগীর, জাহাঙ্গীর, নুরুন্নবী, আহাদ, সামছুদ্দিন, মান্নু দালাল সহ ৪০/৫০ মিলে আমাদের অফিসে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী,সজিব ওয়াজেদ জয় ও এমপির ছবি সহ আসবাব পত্র ভাংচুর করে। আমাদের লোকজনের উপর এলোপাথাড়ি ভাবে হামলা করে।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি । লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ আকতারুজ্জামান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রাথীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই