মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন
ভোলার মনপুরার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কমান্ডার আবুল কাশেম ইন্তেকাল
ভোলার মনপুরা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত কমান্ডার আবুল কাশেম ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি —–রাজেউন)। ভোলা জেলা সদরে একটি মামলার হাজিরা দিতে গেলে ৪ ই জুন বেলা ২ টায় গুলবাগ আবাসিক হোটেলে তিনি মারা যান। মৃত্যূকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। মৃত্যূকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তারা মৃত্যূ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যদের কান্না আর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সেনাবাহিনীর একজন চৌকস সদস্য হিসেবে ১১ নম্বর সেক্টরে হানাদার বাহিনীর সাথে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। অবসর গ্রহনের পর বহু বছর ধরে তিনি তার জন্ম ভূমি মনপুরায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। জীবদ্দশায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে কাজ করে গেছেন।
প্রতিদান স্বরুপ বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে বিগত বছরের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মনপুরা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার নির্বাচিত করেন। বর্তমানে কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ই তিনি এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যূ খবর শুনে সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল ১১ টায় তিনি ভোলা জজ আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যান। হাজিরা শেষে বের হয়ে আসলে তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে সঙ্গীয় স্বজন’রা তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে একটু সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি হোটেল গুলবাগে ফিরে যান। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে একপর্যায়ে মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়েন।
ভোলা থেকে তার লাশ বিকেল নাগাদ মনপুরা আনার প্রক্রিয়া চলছে। রাতের মধ্যেই তাকে রিজির খাল সংলগ্ন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে দাফন করা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যায় দাফন করার জন্য প্রশাসনও প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার হাজীর হাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড চরফৈজুদ্দিনের গোমাতলী গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল কাশেম মিলিটারীর মৃত্যূতে সকল মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন, আ’লীগ ও বি.এন.পি’র নের্তৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই