ভোলার বাপ্তায় ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ বলছে লুটপাট ॥ আটক-২

ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেউয়াখালি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ মামলা নিয়েছি লুটপাটের। এতে করে ঐ পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি আমরা ডাকাতের মামলা করতে গেলেও পুলিশ অদৃশ্য কারনবসত আমাদের দিয়ে লুটপাটের মামলা করিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ভোলা সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার বিরোধ ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য লুটপাটের মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই মামলার আসামীদের মধ্যে শিবলু ও অঙ্গাতদের মধ্যে সালাউদ্দিনকে ইতিমধ্যে আমরা আটক করেছি।

গত শনিবার দিবাগত রাতে বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং চেউয়াখালি গ্রামের আনিছ পাটওয়ারী বাড়ীতে একদল ডাকাত দেশী অস্ত্র সস্ত্র হামলা চালায়। এসময় ডাকাত দল বাড়ীতে হামলা চালিয়ে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৮ হাজার টাকা, ১০ বড়ী স্বর্নাংলকার যা বাজার মূল্য (৬ লক্ষ) টাকা, জমীর কাগজ পত্র, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ আরো অনেক মালামাল নিয়ে যায়।

যাওয়ার সময় ডাকাতের গুলিতে শিল্পীর (৪২) ডান চোখ ডাকদের গুলির আঘাতে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘটনায় ঐ পরিবারের শিল্পী ছাড়া আরো আহত হয়েছে আনিছ পাটারী (৫০), ফাহাদ হোসেন (১৮), সাফায়াত হোসেন ফাহিম (৮)। তবে পুলিশ আহত শিল্পীর ব্যাপারে বলছে, চোখ কিভাবে নষ্ট হয়েছে তা তারা বলতে পারবেনা এটা ডাক্তার ভালো জানেন। তবে শিল্পীকে যে গুলি করা হয়েছে এর নির্দেশন ডাকাতদের গুলির গোসা বাড়ীতে পাওয়া গেছে।

পরিবারে পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পুলিশ মামলাটি অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য লুটপাট মামলা করিয়েছে। এখন শেষ পর্যন্ত সব আসামি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলেই হলো। তারা আরো জানান রবিবারে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এর মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে ৪ জন। এদের মধ্যে পুলিশ সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে সেলিম পাঠান, সেন্টু চাকলাদার, জাহাঙ্গির চাকলাদার। এদের ধরতে পারলেই আসন ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।

এদিকে এ ব্যাপারে আনিছ পাটওয়ারী জানান, তাদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ইউসুফ পাঠানদের সাথে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরত চলে আসছিলো।এই বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধীক মামলা চলমান রয়েছে সেই শত্রুতার জেরধরে ইউসুফ পাঠানসহ ৭-৮ জন মিলে রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আমাদের বাড়ীতে ডাকাতি ঘটে। এই ঘটনার পরে ভোলা সদর থানায় পরিবারের পক্ষে মানিক পাটওয়ারী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।

আসামিরা হলেন, মোঃ সেন্টু, সেলিম, শিবলু, শাহাজল। এদের মধ্যে শিবলু নামরে এক আসামীকে গত রবিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে বুধবার পুলিশ অজ্ঞাত আসামিদের মধ্যে সালাউদ্দিন (৩৫) নামের এক ডাকাত সদস্যকে ভোলার ইলিশা বাস টার্মিনাল থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে পুলিশ। তার পিতার নাম আব্দুল মতলব।

ভোলার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবাশ্বের আলী জানান, গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামী। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসা বাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে ঘটনার অনেক কিছু জানা যাবে বলে আশা করছি।



মন্তব্য চালু নেই