ভোলার চরফ্যাশনে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু, আক্রান্ত আরো -৬

ভোলার চরফ্যাশনের জাহানপুর ইউনিয়নের ওমরাবাজ গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধায় সাপের কামড়ে আলমগীর (৪২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে নিহত কৃষক পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ছয় জন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

আক্রান্তরা হলেন, নিহত কৃষক আলমগীরের স্ত্রী মমতাজ (৩০), ছোট ভাই জাহাঙ্গীর (৩৭), ইউছুফ (২২), বোন রেহানা (৩০), তালতো বোন বকুল (৩৫) এবং নজরুল নগরের ৪নং ওয়ার্ডের মহসিনের মেয়ে নাজমা বেগম (১৫)। আক্রান্তদের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ মৃত মজিবল ওঝার মেয়ে তারা বেগমের বাড়িতে ঢোল বাদ্য বাজিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানাযায়, সোমবার বিকেলে কৃষক আলমগীর তার সবজি বাগানে কাজ করার সমময় বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয় এরপর স্থানীয় ওঝা দিয়ে চিকিৎসারপর চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে চিবিৎসা করান। হাসপাতালে সাপের কামড়ের ভেকসিন না থাকায় মঙ্গলবার সন্ধায় পৌর সভার ১ নং ওয়াডের্র মৃত মজিবল ওঝার বাড়িতে নেয়ার পথে মারা যায়।

এছাড়া নিহত আলমগীরকে চিকিৎসরত অবস্থায় ধরার কারণে সাপের বিষে তার স্ত্রী ভাইসহ পাঁচ জন আক্রান্ত হন। অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেলে নজরুল নগর গ্রামে ধান আনতে গেলে নাজমা নামের কিশোরীকে বিষধর সাপে কামড় দেয়।

আশংকাজন অবস্থায় তাদেরকে বুধবার দুপুরে মজিবল ওঝার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, মেয়ে তারা বেগম ও ছেলে কামরুল হাসান ঢোল বাদ্য বাজিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা বেগম জানান, চিকিৎসাধীন ৬ জনের মধ্যে তিন জনের বিষ মুক্ত করে সুস্থ্য করা হয়েছে। বাকীদেরও বিষ মুক্ত করে সুস্থ্য করে তোলা হবে।

চরফ্যাশন হাসপাতালের সাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে সাপের কামড়ের রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। তাই আমাদের কাছে আসলে কিছু করার তাকে না। জেলা সদর হাসপাতালে রোগিদের যাওয়ার পরামর্শ দিলে তারা জেলা সদর হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে যায়।



মন্তব্য চালু নেই