ভোলার চরফ্যাশনে খাল দখল করে চলছে পাকা ঘর নির্মাণের হিড়িক

ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণে সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে এসব প্রভাবশালীরা কাজ করলেও তাদের বলার মতো সাহস নেই সাধারণ জনগণের। তাই দখলদারদের অবৈধ কাজে বাধা দেয়ার ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্নভাবে হয়রানির আশঙ্কায় চোখের সামনে মুখ বুজে সহ্য করছেন সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের প্রায় বিভিন্ন স্থানের খাল দখল করে পাইলিং দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘ দিন এসব খাল খনন না করা ফলে খাল শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ চলাচলে বিঘ্নসহ বিভিন্ন খালের রাত স্রোত কমে যাওয়ায় ইরি মৌসুমে সমস্যা হচ্ছে সাধারন কৃষকদের। তার উপর দখলদারদের কারণেই খাল আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের দুই পাড় দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করায় ব্রিজের পথ সরু হওয়ার কারণে বাজারে দুইবার অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পানি সংগ্রহ করতে পারেনি। এতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারের মধ্যেও সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মেণের ফলে রাস্তা ও গলি ছোট হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি ঢুকিয়ে কাজ করতে না পারায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।স্থানীয় জনসাধারন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করে। এবং ভ্রাম্যামান আদালত খাল দখল করে ঘর নির্মাণ বদ্ধ করে দেয়। পরবতিতে দখলদাররা পূনরায় ঘর নির্মাণ করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম রেজা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউ করিম সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি খাল দখল করে চলছে ঘর নির্মাণের কাজ।



মন্তব্য চালু নেই