ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ নিশ্চিত করবে সরকার

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘জনসংখ্যাকে দেশের জন্যে আশীর্বাদ প্রমাণ করতে সুস্থ সবল ও মেধাবী জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন। তাই স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি বর্তমানে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার।’

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের কার্যক্রমের আলোকে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর জনগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব। ইতোমধ্যে সরকার সেবার মান উন্নয়নে সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশন পুরস্কারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছে। এখন শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।’

‘বর্তমানে প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের ভিটামিন এ ঘাটতি রয়েছে। নারীদের মধ্যেও এর ঘাটতি প্রকট। তাই ভিটামিন এ ঘাটতিজনিত সকল স্বাস্থ্যসমস্যা দূর করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহন করে। যার প্রথম পর্যায় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ কর্মসূচীর আওতায় ১৬টি ভোজ্যতেল শোধনাগার ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০১৩-১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হবে। এ পর্যায়ে প্রকল্পের আওতায় আরো ৬টি প্রতিষ্ঠান ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।’
দেশের যে ৪টি ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখনো এ প্রকল্পের আওতায় যুক্ত হয়নি তাদেরও যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জনমত গঠন করতে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর বসন্ত কুমার কর, প্রকল্প পরিচালক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. লুৎফর রহমান তরফদার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই