ভোট বর্জন করলেন যারা…

দেশের ৪৮ জেলার ৬১৪ ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই ধাপের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটারদের অভয় দিলেও ভোটার শঙ্কা দূর করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে সর্বমহলে সমালোচনায় বিদ্ধ ইসির কাছে এ ধাপে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা অনেকটা ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

এরই মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে ভোটবর্জনের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য :

চাঁদপুর : জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিল্লাল হোসেন ভুঁইয়া (ধানের শিষ) কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

নারায়ণগঞ্জ : সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে একমাত্র এনায়েতনগর চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম আলমগীর হোসেন নির্বাচন বর্জন করে সরে এসেছেন। সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (গর্ভেন্ট গার্লস স্কুল) সামনে আলমগীর নির্বাচন বয়কটের ওই ঘোষণা দেন।

ঝিনাইদহ : কালিগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন (মোটরসাইকেল) ভোটবর্জনের ঘোষণা দেন। দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল দেয়া ও তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ বর্জনের ঘোষণা দেন।

কুমিল্লা : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগে কুমিল্লায় বিএনপির দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। বেলা ১১টায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন- কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিবাজার ইউপির বিএনপি প্রার্থী আলী হোসেন ও লাকসাম উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউপির বিএনপি প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী।

নোয়াখালী : নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী লিয়াকত আলী ভুট্টো ভোটবর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে নির্বাচনে অনিয়ম, জাল ভোট প্রদান ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে ভোটবর্জন করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই