বিশেষ সাক্ষাৎকারে ক্যান্সার জয়ী শিল্পী স্বীকৃতি

“ভেবেছিলাম আমি তো মরেই যাব, কিন্তু আমার মেয়েটির কী হবে”

ক্যান্সার জয়ী এক শিল্পী শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি। তবে তিনি শুধু ‘স্বীকৃতি’ নামেই বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম এবং বেড়া ওঠা নওগাঁ জেলাতে। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত দুরন্ত স্বভাবের ছিলেন স্বীকৃতি।

২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট স্বীকৃতির দেহে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময় তার জীবন যদ্ধে পাশে ছিল দেশের সব কিংবদন্তী শিল্পীরা। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্তির মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ হয় এই শিল্পীর। বাংলাদেশ বেতারে প্রথমেই ‘ক’ শ্রেণীর শিল্পী হিসেবে স্থান পেয়ে যান তিনি। এখন পর্যন্ত তাঁর সাতটি একক অ্যালবাম ও পঞ্চাশের বেশি মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছে। চলচ্চিত্রে প্রায় সাড়ে পাঁচশর বেশি গান গেয়েছেন স্বীকৃতি। এর মাঝে বিশেষ সখ্য হওয়ায় সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সাথেই করেছেন অর্ধশতর বেশি গান।

সম্প্রতি শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি’র সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বসেন আওয়ার নিউজ বিডি’র বার্তা সম্পাদক আবু রায়হান মিকাঈল। দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে স্বীকৃতির সংগীত জগতে আসার পিছনের গল্প এবং সেই সাথে উঠে এসেছে জীবন যুদ্ধের লৌমহর্ষকর কিছু ঘটনা। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারের আলাপচারিতা হুবহু তুলে ধরা হলো-

আওয়ার নিউজ বিডি : আওয়ার নিউজ বিডি’র পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন, কেমন আছেন?
স্বীকৃতি : আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। এখন মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালই আছি।

আওয়ার নিউজ বিডি : বর্তমানে আপনার স্বাস্থের অবস্থা কেমন ?
স্বীকৃতি : বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছি। ছোটখাটো কাজকর্ম গুলোও করতে পারি।

আওয়ার নিউজ বিডি : এভাবে আর কত দিন ট্রিটমেন্ট নিতে হবে আপনাকে ডাক্তারদের মতে ?
স্বীকৃতি : ট্রিটমেন্ট এখনো ২ বছর চলবে। তাছাড়া ৩ মাস ৬ মাস পর পর চেকআপে যেতে হয়। আর চেকআপ করাচ্ছি মুম্বাই-এর রাহেজা হসপিটালে।

আওয়ার নিউজ বিডি : এখন কী সেই আগের মত কোন অনুষ্ঠান করার জন্য সাড়া পান ?
স্বীকৃতি : হ্যাঁ, অনুষ্ঠান করার জন্য মোটামুটি ভালই সাড়া পায়। আমি মুম্বাই থেকে চিকিৎসা শেষে প্রায় ৫ মাস পর যখন দেশে ফিরলাম তখন সার্কের কয়েকটা দেশে প্রোগ্রাম করার জন্য অফার পেয়েছিলাম। তাছাড়া শিল্পকলা থেকেও বেশ কিছু অনুষ্ঠানের অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আমি সেই প্রোগ্রাম গুলো করতে পারিনি। তবে, বর্তমানে কিছু ফিল্মী গান শুরু করেছি।

আওয়ার নিউজ বিডি : আগের মতোই কাজ করতে মন চায় না আপনার ?
স্বীকৃতি : অবশ্যই। আমি ইতোমধ্যে মোটামুটি ফিল্মী গান শুরু করেছি। সম্প্রতি বেশ কিছু ফিল্মী গানে কণ্ঠ দিয়েছি। তাছাড়া অডিও কয়েকটি মিশ্র গানও করেছি।

আওয়ার নিউজ বিডি : কখন, কিভাবে আপনার সংগীত জগতে প্রবেশ?
স্বীকৃতি : আসলে সেই ছোট থেকেই দেখেছি আমাদের বাড়িতে গানের একটা ভাল পরিবেশ ছিল। আমার মা, বড় বোনেরা, মামাতো ভাই, মামারা সবাই গান করতো। আমার বয়স যখন ৪ বছর তখন আমাদের পাড়ায় প্রথম বড় স্টেজে গান করেছিলাম। সেই সময় আমার গান শুনে অনেকে মুগ্ধ হয়েছিল। তাছাড়া আমি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়মিত গান করতাম। সবার কাছ থেকে আমি অনেক ভালবাসা ও উৎসাহ পেতাম। এরপর গানের প্রতি আমার আগ্রহটা আরো বাড়তে থাকে।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনি এ পর্যন্ত কতটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন?
স্বীকৃতি : এ পর্যন্ত তো বহু গানে কণ্ঠ দিয়েছি। অনেকে নিউজের পেপার কাটিং, কতটি গানে কণ্ঠ দিলো সেটার হিসাব একেবারে পঙ্কানু পঙ্কানু ভাবে রাখে। কিন্তু আসলে আমার ঐভাবে হিসাব করে রাখা হয়নি।

আওয়ার নিউজ বিডি : এ পর্যন্ত আপনার কতটি একক ও মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছে?
স্বীকৃতি : এখন পর্যন্ত আমার সাতটি একক অ্যালবাম ও পঞ্চাশটির বেশি মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছে।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনি কি সিনেমার কোনো গানে কন্ঠ দিয়েছেন?shikritiiii
স্বীকৃতি : চলচ্চিত্রে প্রায় সাড়ে পাঁচশর বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এর মাঝে বিশেষ সখ্য হওয়াতে সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সাথেই করেছি অর্ধশতর বেশি গান।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনি বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হয়েছিলেন কত সালে?
স্বীকৃতি : বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৯৯ সালে এবং বেতারে ১৯৯৮ সালে আমি তালিকাভুক্ত শিল্পী হয়েছিলাম।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার প্রথম অ্যালবামের নাম কী ছিল? এবং সেটি বাজারে আসার পর কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?
স্বীকৃতি : আমার প্রথম অ্যালবাম বাজারে এসেছিল ২০০০ সালে। অ্যালবামটির নাম ছিল ‘হৃদয়ের শিহরণ’। মোটামুটি ভালই সাড়া পেয়েছিলাম। তবে অ্যালবামটি খুব ভাল একটা ব্যানার থেকে বের হয়েছিল। মূল কথা হলো- আমি যে, সেই সময় মানুষকে একটা অ্যালবাম উপহার দিতে পেরেছিলাম এটাই ছিল আমার বড় আনন্দের বিষয়। এই অ্যালবামের মাধ্যমে আমার মিডিয়াতে বিচরণ শুরু হয়েছে। তাছাড়া অ্যালবামটি বের হওয়ার পর আমি অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার আজকের স্বীকৃতি হয়ে ওঠার পেছনে কার অবদানটা বেশি ছিল বলে মনে করেন ?
স্বীকৃতি : প্রথমত আমার পরিবার থেকে আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, তারপর অবশ্যই আমার স্বামী। বর্তমানে আমার মেয়েও আমাকে অনেক উৎসাহিত করে।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার ক্যান্সার ধরা পড়েছিল কতদিন আগে?shahanaz1441104328
স্বীকৃতি : ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট আমি জানতে পারি যে আমার ক্যান্সার হয়েছে। আর এটা ধরা পড়েছিল ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে। ক্যান্সারের খবরটি জানার পর আমার কিছুই ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল- পৃথিবীটা যেন অন্ধকার হয়ে গেছে। প্রচন্ড কেঁদেছি, কান্নার মাত্রা এতটা বেশি ছিল যে, আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনি কেমন ধরণের গান করতে বেশি পছন্দ করেন?
স্বীকৃতি : আসলে আমি আধুনিক, ফোক সহ সব ধরণের গানই করি।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার ছেলে/মেয়ে কয়জন?
স্বীকৃতি : আমার একটা মেয়ে, তার নাম প্রত্যাশা।

আওয়ার নিউজ বিডি : স্বামী, সন্তানের পরিবার নিয়ে শহরের জীবন কেমন লাগে ?
স্বীকৃতি : প্রথম প্রথম একদমই ভাল লাগতো না। তবে প্রোফেশনাল জীবনের কারণে শহুরে পরিবেশে থাকতে হয়েছে। যখন জীবনে অনেক কষ্ট করেছি, তখন মনে হতো এ শহরটি আমার জন্য না। যেন প্রাণহীন একটি শহর। কিন্তু এই শহুরে পরিবেশে থাকতে থাকতে এক সময় সব কিছু মানিয়ে নিতে হয়েছে।

আওয়ার নিউজ বিডি : প্রতিদিন আপনাকে তো বেশ কয়েক ব্যাগ রক্ত দেওয়া লাগত, এত রক্ত আপনি 13781927_937951356330982_4220048900909564789_nকোথায় পেতেন?
স্বীকৃতি : আমার ব্লাড গ্রুপ এবি+ (পজেটিভ)। সত্যি কথা বলতে আমি খুব লাকি আল্লাহ কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে, আমার কোনো ব্লাড কিনতে হয়নি। দেশে আমার সেই সময় অগণিত ভক্ত আর স্বজনদের সহযোগিতায় সময় মতো সব ব্লাড যোগাড় হয়ে যেতো। এ বিষয়ে কোনো রকম সমস্যা পোহাতে হয়নি।

আওয়ার নিউজ বিডি : যে সময়ে আপনাকে ব্লাড দেওয়া হতো তখন কী আপনি ঢাকাতে ছিলেন?
স্বীকৃতি : হ্যাঁ, তখন আমি ঢাকাতে ছিলাম। রাজধানীর ল্যাব ওয়ান হাসপাতাল থেকে তখন চিকিৎসা নিতাম। অবশ্য পরবর্তীকালে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম ভারতে যাওয়ার পূর্ব মুর্হূত পর্যন্ত।

আওয়ার নিউজ বিডি : যখন জানতে পারলেন আপনি ক্যান্সারে আক্রান্ত তখন আপনার সেই মুহূর্তের মনের অবস্থাটা কেমন ছিল?
স্বীকৃতি : সেই মুহুর্তের অবস্থাটা খুবই খারাপ ছিল। আমার মেয়েকে বাংলাদেশে রেখে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ছিল আমার স্বামী। ক্যান্সারের খবরটি জানার পর মনে হচ্ছিল- পৃথিবীটা যেন অন্ধকার হয়ে গেছে। প্রতি মুহুর্তে যন্ত্রণাটা বেড়ে যেতো আমার মেয়েটির কথা মনে পড়লে। কে দেখবে আমাকে মেয়েকে? তার ভবিষ্যৎ কী হবে? কে তাকে মানুষ করবে? আমি তো মরেই যাব, আমার স্বামী হয়তো ওকে ঠিক মতো দেখাশুনা করতে পারবে না। আমি দেখেছি- ফ্যামেলিতে বাবা অথবা মা না থাকলে সে সন্তানগুলো কত কষ্টে মানুষ হয়। তখন এগুলোই মাথার মধ্যে শুধু ঘুরপাক খাচ্ছিল। মনে মনে শুধু আল্লাহকে বলতাম- আমার মেয়েটির জন্য হলেও তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রাখো। যেভাবেই হোক যেন চিকিৎসাটা আমি পায়।

আমি আসলে সবার কাছে কৃতজ্ঞ, আমার ক্যান্সারের খবর চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার পর দেশ ও দেশের বাহিরে বাঙালীদের কাছ থেকে অজস্র সাড়া পেয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করেছেন। আমার সংগীত জগতের সহকর্মীরা সবাই ঐ মুহুর্তে আমার পাশে এগিয়ে এসেছিল। সত্যি আমি খুব হ্যাপী, আমার প্রচুর ব্লাড লেগেছিল কিন্তু সামান্য ব্লাডও আমার কিনতে হয়নি। আমার ভক্তরাই আমাকে ব্লাড দিয়েছে। তাছাড়া আমার বিপদের দিনে আমার সব আপনজনদের আমি কাছে পেয়েছি। এসবই আমার জন্য ছিল একটা বড় পাওয়া। আমি ভাবিনি আমি বাঁচবো, ভেবেছিলাম মরেই যাব। কিন্তু হাজরো মানুষের ভালবাসা এবং আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি আপনাদের মাঝে আবার ফিরে আসতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহ’র দরবারে লাখো শুকরিয়া।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনি অসুস্থকালীন সময়ে গুণি শিল্পীদের কাছ থেকে কী কোনো সহযোগিতা 11898575_944506392288477_87পেয়েছিলেন?
স্বীকৃতি : অবশ্যই। কিংবদন্তী সব শিল্পীদের কাছ থেকে আমি সহযোগিতা পেয়েছিলাম। সাবিনা ইয়াসমিন,
রুনা লায়লা, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, কবির বকুল, আসিফ, মুন্নী, ইমন, পারভীন সুলতানা, আঁখি আলমগীর, শফিক তুহিন, পরশী, মীলা, ফেরদৌসী রহমান সহ আরো অনেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমত, বুলবুল ভাই আমাকে বলল- তুমি তো এভাবে বাঁচবে না, তোমার সন্তানটির জন্য হলেও তোমাকে বাঁচতে হবে। তুমি চিন্তা কর না, আমরা সবাই তোমার পাশে আছি। তুমি ঠিক মতো ট্রিটমেন্ট নাও। এরপর আস্তে আস্তে সবাই আমার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসলেন। শেষ পর্যন্ত আমি এত মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলাম যে, আমার মনে হতো আমি মরে গেলেও এখন কোনো দুঃখ থাকবে না।

আওয়ার নিউজ বিডি : মেয়েকে কী আপনার মত মিডিয়ার কোন একজন সেলিব্রেটি হিসেবে গড়তে চান ?
স্বীকৃতি : আমার মেয়ে পড়াশুনা করছে। আমি জানিনা সে বড় হয়ে মিডিয়াতে কাজ করবে কিনা, তবে আমি চাই সে মানুষের মতো মানুষ হোক। সে গান গায়, ছবি আঁকে আবার অনেক কিছু বানাতেও পারে।

আওয়ার নিউজ বিডি : এখন সময়টা আপনার কিভাবে কাটে?sikriti
স্বীকৃতি : সুস্থ, অসুস্থতার মধ্যদিয়ে দিন চলে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে বাসার বাহিরে মুক্ত পরিবেশে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর চেষ্টা করি। তাছাড়া এখন এই অবসর সময়ে আমি প্রচুর গান শুনি। আমি আবার বইপোকা, বই পড়তে খুবই পছন্দ করি, কিন্তু সেটা আপাতত কম হচ্ছে। কারণ কেমোথ্যারাপিতে চোখে একটু সমস্যা হয়েছে।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু বলুন…
স্বীকৃতি : আগে জীবনটা নিয়ে এক রকম ভাবতাম, কিন্তু এখন একটু অন্যভাবে ভাবি; কারণ ভাবনার দিকগুলো একটু আলাদা হয়েছে। আরো ভাল কিছু গান করার ইচ্ছা আছে। যে গানগুলো আমি মারা যাওয়ার পরেও স্রোতাদের মুখে থেকে যাবে বা আমার সন্তান গর্ব করে বলতে পারবে আমার মা গেয়েছেন এই গান। একদিন তো আমি বেঁচে থাকবো না, যেন আমার গানগুলো সবার মাঝে বেঁচে থাকে। এটাই আমার ইচ্ছা বা স্বপ্ন।

আওয়ার নিউজ বিডি : আওয়ার নিউজ বিডির পাঠক ও আপনার লাখো ভক্তের জন্য কিছু বলার আছে কী?
স্বীকৃতি : অবশ্যই বলার আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আওয়ার নিউজ বিডিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে আমার সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্যে। আর আমার সকল ভক্তদের বলব- আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমি দ্রুত সুস্থতা লাভ করি এবং আগামী দিনে আপনাদের সুন্দর সুন্দর গান উপহার দিতে পারি।

আওয়ার নিউজ বিডি : আপনার সুস্থতা কামনা করছি এবং সেই সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দীর্ঘক্ষণ আওয়ার নিউজ বিডিকে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।
স্বীকৃতি : ধন্যবাদ।

কণ্ঠশিল্পী স্বীকৃতি’র কিছু ভিডিও গান নিম্নে দেওয়া হলো :








মন্তব্য চালু নেই