ভূলের কারনে ব্যাথা থেকে স্তন ক্যানসার

ক্যানসার কথাটা শুনলেই আমাদের মনে ভয় চলে আসে। এই বুঝি কেমো থেরাপি দিতে হবে। আর পড়ে যাবে সব চুল। ক্যানসার প্রতিরোধে কতো রমমের প্রস্তুতি আমাদের। কিন্তু মেয়েদের জন্য দেখা যায় স্তন ক্যানসার শতকরা হার বেরেই যাচ্ছে। কেনো হয় তরুনী মেয়েদের স্তনে রোগ থেকে ক্যানসার তা আসলে আমরা অনেকেই যানিনা, আর নিজে জানলেও কাউকে বলি না সরমে।

কতো সুন্দর হেসে কেলে বড়ো হলো মেয়েটি, কিন্তু হঠাৎ ধরা পড়লো ক্যানসার বা টিউমার। আসলে মেয়েদের জন্য স্তনে ক্যানসার বা টিউমারের ঝুকিটা বেশী যেমন ছেরেদের বেশী পেনিস রোগের জন্য। প্রথমে বলা যায় অলসতা আর ব্যায়াম না করা সকর রোগেল মূল রহস্য। মেয়েদের শরীরিক গড়ন আলাদা। শরীরের বুকে দুখণ্ড মাংস পিন্ড এসে সামনের দিকটা উচু হয়ে আসে।

তা কি পরিমান উচু হবেতিা জেনেটিক্স্ এর ব্যাপার। এটির কারণে দৌড় ঝাপ দিতে ছেরেদের তেকে মেয়েরা বেশ কিছুটা অপারক এমনকি মারামারিতেও। কোন কোন সময় দেখা যায় মেয়েদের বুকের উপরের এ পিণ্ড তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে আসে। কিন্তু তা বুঝতে না পেড়ে স্বাভাবিক মনে করে ব্রেসিয়ার ব্যাবহার করে না। প্রতিদিনের চলাচলে এটি শরীরের উপরে প্রেসনের ও টানের সৃষ্টি করে। তাতে মাঝে মাঝে রাতে হালকা ব্যাথা হয়। সেটা মেয়েরা শরমে গোপন করে আজে বাঝে ওষুধ খায়। তাতে পড়ে বড়ো ধরনের রোগের করন হয়।

অনেক সময় কিছু কিছু মেয়েদের অনুভূতি একটু বেশী হয়। এরা একাএকা রাতে বা অন্ধকারে অল্প বয়সে নিজেরে স্তন হাত দিয়ে চাপানোর চেস্টা করে। কিছু সময় দেখা যায় রক্তের চলাচলে বাধা হবার কারনে অন্য রকমের অনুভূতি হয়। তাতে এরা বড়োদের মতো সুখ খুজে নেয়। ফলে বারবরা প্রতিদিন করে। তাতে ব্যাথা থেকে হতে পারে বড়ো ধরনের রোগ। নানান কারণে আমাদের দেশে আজকাল ছেলে মেয়েরা যৌনতায় মনোনিবেশ করে থাকে। স্কুল/কলেজ ফাকি দিয়ে এরা কোন ম্যাসে দেখা করে আরোপকমে লিপ্ত হয়।
ছেলেদের ভেতরে একটি টেডেন্সি থাকে মেয়েদের কাছে পেলে স্তনে হাত দিয়ে শক্তিদিয়ে ব্যাথা দেয়। প্রথম প্রথম মেয়েরা না করলেও পরে চাহিদা বারে ফলে আর না করে না বরং আরো সে সুখ পেতে চয়। এতে রক্তের নালিকা সঠিক ভাবে না প্রবাহিত হতে পারে আর হতে পারে বড়ো মপের সমস্যা। অনেক সময় দাত দিয়ে স্তনের সামনের বোটা কামড়িয়ে দিলে তা থেকে জীবানুহতে পারে। কিন্তু অর্প বয়সে তা বুঝতে পারে না বলে বছর খানেক পর হতে পারে ক্যানসারের মোত সমস্যায় ।

শুধু যে ছোট মেয়েদের ভূলের কারনে রোগের জন্ম হয় তা নয়। বড়োরাও নির্বুদ্ধিতায় অনেক ভূল করে। নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য বা স্বামীর দূবলতার কারনে বন্ধু পাতিয়ে মহিলারা গোপনে যৌন সংঙ্গমে যায়। এতে অপর পুরুষ পর নারী পেলে নিজের সর্বোস্ব দিয়ে ব্যাথা দিয়ে মিরনে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশেষ করে স্তনে মারাতৎক প্রেসন, কামরানো ও বিষাক্ত পদ্ধতিতে যৌন মিলন। শরমে মহিরারা পরে এটি গোপন করে। কিন্তু তা তেকে পরে মারাত্মক রোগের কারন হয়।

নিজেরা যদি সচেতন হতে পারেন তো ভিবিষৎ ক্যানসার থেকে নিজেদের দূরে রাতে পারবেন। জিজেই দেখুন আপনার স্তন দুটো ছিক সমান আছে নাকি ছোট বড়ো। কোন রমর দাগ বা শক্ত শক্ত কিছু আছে নাকি। তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশী বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।

৫০ থেকে ৭০ বছর বয়সী নারীদের প্রতি তিনবছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং বা ম্যামোগ্রাম করানো উচিত। ম্যামোগ্রাম হচ্ছে এক্স-রে’র মাধ্যমে নারীদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করা। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার এতো ছোট থাকে যে বাইরে থেকে সেটা বোঝা সম্ভব হয় না। কিন্তু ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে খুব ছোট থাকা অবস্থাতেই বা প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। আর এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে।

লেখকঃ

মির্যা রাহাস ইসলাম
পেরামেডিক, ঢাকা



মন্তব্য চালু নেই