ভুলেও এই ৪ কাজ কখনোই নয়

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বহু দিন আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’ একদম ঠিক কথা। কারণ, না ভেবে একটা কাজ করে ফেললে, তার পর ভেবে আর বিশেষ লাভ হয় না। শুধু পস্তাতে হয়। তাও কত দিন সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না। সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাঁরা ঝোঁকের মাথায় এমন কিছু কাজ করে ফেলেন, তার পর তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। মনোবিদদের মতে, ৪টি এমন কাজ রয়েছে যা করার আগে না ভাবলে তা নিয়ে সারা জীবন পস্তাতে হবে।

১) বিয়ে: ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে! ভাবলেন আর করে ফেললেন। সারা জীবন হাত কামড়াতে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে বলা যায়, কামড়াতে হয়। আমরা বলছি না, যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরাই বলছেন। ক্ষণিকের আবেগ, ক্ষণিকের ভালোলাগাকে সারাজীবনের পুঁজি করে ফেলবেন ভেবে বসে পড়লেন পিড়িতে। ব্যস, আর কী চাই জীবনে ডামাডোল আনতে। মনে রাখবেন, বিয়ে এক দিনের ‘খেল’ নয়। সারা জীবন একে অপরের সঙ্গে কাটাতে গেলে একে অপরকে জানা খুব জরুরি। তার জন্য বেশ কিছুটা সময় কাটাতে হয়। যদি ঝোঁকের বশে বিয়ে করেও ফেলেন, তা থেকে বেরিয়ে আসতেও কালঘাম ছুটবে। তাই বিয়ের আগে বিদ্যাসাগরের বাক্য সব সময় স্মরণ করুন।

২) ট্যাটু: নতুন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। খেলোয়াড় থেকে প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী, সকলকে দেখে খুব অনুপ্রেরণা পেলেন। সেটাকে কাজেও লাগানোর জন্য ছটফট করছেন। এখানেও ওই একই কথা প্রযোজ্য। থিঙ্ক বিফোর ইউ ইঙ্ক। ‘বার খেয়ে’ হয়ে ট্যাটু করানোর আগে এ কথাগুলি মনে রাখুন। ট্যাটু কিন্তু সহজে মোছা যায় না। যাঁরা মুছেছেন, তাঁরা ভালোই জানবেন, যে এর জন্য কতটা গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় এবং তা ট্যাটু করানোর থেকেও কতটা যন্ত্রনাদায়ক হতে পারে।

৩) সন্তানের জন্ম: প্রথম দু’টো যদি ভুল করে করেও ফেলেন, তৃতীয়টি কখনই করবেন না। বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসা যায়। সময় সাপেক্ষ হলেও সম্ভব। ট্যাটুও মোছা যায়। গাঁটের কড়ি থাকলেই হল। আর সঙ্গে যন্ত্রনা সহ্য করার ক্ষমতা। কিন্তু সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর বাবা-মায়ের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন আসে। তার একটা দায়িত্ব থাকে। সন্তান প্রতিপালনের নানা দিক রয়েছে, যেখানে অভিভাবকদের অনেক স্বার্থত্যাগ করতে হয়। তাই মানসিক দিক থেকে যখন ১০০ শতাংশ নিষ্চিত হবেন, তখনই সন্তানের কথা চিন্তা করুন।

৪) বিদেশ ভ্রমণ: বিদেশে ঘুরতে গেলে, বিশে, করে সেটা যদি একাধিক দেশ হয়, তবে খুব হিসেব করে তার পর যান। কোন দেশে যাচ্ছেন, সেখানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন, আপনার দেশের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন, কত টাকা খরচ হতে পারে, ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যিক। আরও একটা ব্যাপার থাকে সেটা হল ড্রাগ পাচার চক্র। অনেক সময় প্রথমবার ভ্রমণকারী যাত্রীদের টার্গেট করে এই চক্রের লোকেরা। হয়তো আপনার সঙ্গে একই প্লেনে রয়েছে সে, তবে পাচার করার জন্য বিশে, দ্রব্যটি কখন যে আপনার জিম্মায় চালান করে দেবে তার ঠিক নেই। তাই বিশেষে প্লেন ধরার আগে নিজের সমস্ত জিনিস, বিশেষ করে হ্যান্ডব্যাগ ভালো করে পরীক্ষা করুন। নিজের জামা-প্যান্টের পকেটের দিকেও খেয়াল রাখবেন। যদি সন্দেহজনক কিছু পান, সটান ডাস্টবিনে চালান করে বেরিয়ে আসুন। না হলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। আরও একটা ব্যাপার মনে রাখবেন, বিপদে এমন একজন লোকের ফোন নম্বর মুখস্থ রাখুন, যিনি যে কেনও সময়ে আপনাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।



মন্তব্য চালু নেই