ভিন্ন পথে ইলিশের ডিম যাচ্ছে বিদেশে
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ইলিশ ও ইলিশের ডিম বিদেশে রপ্তানি নিষিদ্ধ থাকায় ভিন্ন নামে কিংবা ভারত হয়ে বিদেশ যাচ্ছে ইলিশের ডিম। রুপালি ইলিশের রাজধানী নামে খ্যাত চাঁদপুর মৎস্য আড়তের বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চাঁদপুর মৎস্য আড়ত থেকে সারা দেশে ইলিশ রপ্তানির পাশাপাশি ডিমও বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে পাঠাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই পথে ইলিশের ডিম ভারত হয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে ইলিশের ডিম প্লাস্টিকের ছোট বাক্সে ভরে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করতে দেখা যায়। প্লাস্টিকের শত শত বাক্সে ইলিশের ডিম ভরে বড় ককসিটের মধ্যে একত্র করা হয়। তারপরে ট্রাকে করে চালান করা হয় চট্টগ্রামে।
চাঁদপুর মাছঘাটের ভাই ভাই আড়তের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বলেন, বড় সাইজের ইলিশের কেজি আড়াই হাজার টাকা। ডিমও বিক্রি হচ্ছে একই দামে। স্থানীয় ক্রেতারা ইলিশের ডিম না কিনলেও বিদেশে এর চাহিদা অনেক। তবে সরকার সরাসরি বিদেশে রপ্তানি বন্ধ রাখায় ডিম প্রথমে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা পরে বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী জানান, শুধু ইলিশের ডিম নয়, ইলিশ মাছও চাঁদপুর থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে চলে যায়। ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বড় সিন্ডিকেট এই কাজ করে। চাঁদপুর মৎস্য আড়তে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ এলেও তাদের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট দামেই বিক্রি হয়। সে জন্য সাধারণ মানুষের পক্ষে কম দামে ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না।
চাঁদপুর মৎস্য আড়ত থেকে একমাত্র ইলিশের ডিম রপ্তানি করেন মেসার্স এএমএস ট্রেডার্স। বিদেশে ইলিশের ডিম রপ্তানি করা হয় কি না এমন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তবে তারা বলেন, Ôআমরা চট্টগ্রামে পাঠাই। সেখান থেকে ডিম কোথায় পাঠানো হয়, তা বলতে পারব না।’
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ কিংবা ডিম সবকিছুই রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে চাঁদপুর থেকে ইলিশের ডিম চট্টগ্রামে পাঠানো হয় বলে শুনেছি। হয়তো ইলিশের ডিম না বলে অন্য মাছের ডিম বলে বিদেশে রপ্তানি হতে পারে।’
মন্তব্য চালু নেই