ভিডিও চ্যাটে প্রেমিকার চোখের সামনে প্রেমিকের আত্মহত্যা
ভালবাসার জন্য মানুষ কী না করে! কথায় বলে প্রেম অন্ধ হয়, প্রেমে এক আশ্চর্য শক্তি রয়েছে। প্রেম সময় বিশেষে আশীর্বাদ রূপে এসে যেমন বদলে দিতে পারে কোনও মানুষের জীবন, তেমনই কখনও কখনও অভিশাপের আকারে তা ছাড়খাড়ও করে দিতে পারে কোনও মানুষকে। ভালবাসার তেমনই এক বিধ্বংসী চেহারা সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও মারফত।
এই ভিডিও প্রচার করেছে ম্যাঙ্গো নিউজ নামের একটি সংবাদ সংস্থা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেদের মধ্যে স্কাইপে ভিডিও চ্যাট করছেন। কিন্তু প্রেমালাপে তারা মত্ত নন। বরং ঠিক তার উল্টোটা। নরেশ নামের ছেলেটিকে নিত্য চক্রবর্তী নামের তরুণী দোষারোপ করে চলেছেন। বলছেন, ‘তুমি অত্যন্ত বিরক্তিকর, তোমার সঙ্গে আমি কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
নরেশ কাতরভাবে বলছেন, ‘কিন্তু তুমি তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে, সারা জীবন আমার সঙ্গে থাকবে।’ নিত্য জবাবে জানাচ্ছেন, নরেশের কোনও অ্যাম্বিশান নেই। কাজেই ভাল হয়, যদি নরেশ তার জীবন থেকে একেবারে সরে যান। এই বলে নিত্য সাইন অফ করে দিচ্ছেন স্কাইপি থেকে।
কিন্তু নরেশ আবার ভিডিও কল করছেন নিত্যকে। নরেশ জানাচ্ছেন, নিত্যর অনুরোধ শুনে তিনি চিরকালের মতো সরে যাবেন নিত্যর জীবন থেকে। প্রথমটা নিত্য বুঝতে পারেননি, কী করতে চলেছেন নরেশ। কিন্তু তার পরে বিষণ্ণ গলায় রমেশ যখন নিত্যকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘তোমাকে আর কোনও দিন বিরক্ত করব না আমি। আর এটাই তোমার জন্মদিনে আমার উপহার’।
তখন উদ্বেগ ফুটে ওঠে নিত্যর চোখেমুখে। তিনি বুঝতে পারেন, কঠিন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেশ। তার পরেই ঘটে যায় এক ট্র্যাজে়ডি। নিজের ঘরের জানলা খুলে নীচে ঝাঁপ দেন নরেশ। স্কাইপির ক্যামেরা তখনও অন রয়েছে। আর ভিডিও কলের অন্য পারে বসে রয়েছেন নরেশের ভালবাসার মানুষ নিত্য। তিনি তখন পাগলের মতো ছোটাছুটি করছেন ‘নরেশ নরেশ’ চিৎকার করতে করতে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, জানালা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরে নরেশের মৃত্যু হয়েছে। তেলুগুভাষী প্রবাসী ভারতীয় এই যুগলের মধ্যে ব্রেক আপের ফলেই নরেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। অনেকেই দাবি করছেন, গোটা ব্যাপারটাই সাজানো। নরেশ নামের ওই যুবক আসলে তার এক তলার ঘরে বসে কথা বলছিলেন। ফলে সেই ঘরের জানলা থেকে নীচে ঝাঁপ দিয়ে তার মৃত্যু তো দূরস্থান, আহত হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য এতসব বিচারের ধার ধারে না। ফেসবুক, টুইটারে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিও।
মন্তব্য চালু নেই