ভালোবাসার ‘পাগল’ হয়ে কার কার সাথে প্রেম বাধঁলেন বলিউডের এই সকল সেলিব্রেটিরা?
সে যত বড় তারকাই হোন না কেন, প্রেমে পড়লে সবাই কাবু। বড় পর্দায় খেল দেখিয়ে তাঁরা বহু দর্শকের মন চুরি করেন ঠিকই।
কিন্তু যখন তাঁর হৃদয়টিই খোয়া যায় অন্য কারও কাছে…তখন? তখন পাগলামি করতে বাকি রাখেন না হোমড়া চোমড়া সেলিব্রটিরাও। কেউ ভালবাসার জন্য ছেড়েছেন আমিষ খাবার, কেউ আবার ছেড়েছেন নিজের ধর্মও। কেমন ছিল তারকাদের সেই সমস্ত প্রেম-পাগলামি?
* কারিনা কাপুর-শাহিদ কাপুর: শাহিদের প্রেমে পাগল ছিলেন কারিনা। যে আমিষ খাবার এত ভালবাসতেন বেবো, শাহিদের জন্য সেটাও ছেড়েছিলেন তিনি। শাহিদ যেহেতু ভেজিটেরিয়ান, তাই কারিনাও সে সময় ভেজ ছাড়া আর কিছু খেতেন না।
* দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর কাপুর: তাঁদের সম্পর্ক বি-টাউনে ছিল ওপেন সিক্রেট। কিন্তু রণবীরের প্রেমে পড়ে দীপিকা যে বোল্ড স্টেপ নিয়েছিলেন তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিল গোটা বি-টাউন। ব্রেকআপের কিছুদিন আগেই নিজের ঘাড়ে ‘আরকে’ লেখা ট্যাটু করিয়েছিলেন দীপিকা। তখনও জানতেন না এই সম্পর্কের পরিণতি।
* রাবিনা ট্যান্ডন-অক্ষয় কুমার: ‘টিপ টিপ বরষা পানি’র সেই মাদকতা এসেছিল তাঁদের রিয়েল লাইফেও। ১৯৯৪-এ ‘মোহরা’র সময় প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের। মুখে স্বীকার না করলেও বি-টাউনের সকলেই জানতেন ঘনিষ্ঠতা রয়েছে অক্ষয়-রাবিনার। সূত্রে খবর, রবিনাকে নাকি পালিয়ে বিয়েও করেছিলেন অক্ষয়। মন্দিরে গিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। তবে এই সম্পর্কও টেকেনি।
* শ্রীদেবী-বনি কাপুর: প্রেমের খাতিরে কত পাগলামিই না করতে হয়! বনি কাপুরের হাতে নাকি রাখিও পরিয়েছিলেন শ্রীদেবী! কিন্তু কেন? এক সময় শ্রীদেবীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মিঠুনের। সূত্রে খবর, ১৯৮৫ সালে তাঁরা নাকি লুকিয়ে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু পরে আর এই সম্পর্ক টেকেনি। এরপর শ্রীদেবী তাঁর থেকে ৮ বছরের বড় প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের আগে বনির প্রথম স্ত্রী মোনা কাপুরের সামনে নাকি বনি কাপুরের হাতে রাখি পরিয়েছিলেন নায়িকা!
* রেখা-অমিতাভ: অপূর্ণতায় ভরা তাঁদের ভালবাসা। নিজেরাও কখনও প্রকাশ্যে স্বীকার করতে পারেননি নিজেদের সম্পর্ক। আর তাই নিঃশব্দে নিজের ভালবাসা সবাইকে জানাতে চেয়েছিলেন রেখা। ১৯৮০ সালের ২২ জানুয়ারি। ঋষি কাপুর আর নিতু সিংহের বিয়ে। নিতুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রেখা। এলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখানে উপস্থিত সপরিবারে বিগ-বিও। মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত ক্যামেরা নবদম্পতির থেকে ঘুরে গেল রেখার দিকে। সাদা শাড়ি, কপালে লাল টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্র। ভালবাসার জন্য এমন আকুল পাগলামি তাঁকেই মানায়।
* হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্র: নিজের থেকে ১৩ বছরের বড় ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন হেমা। কিন্তু বিয়েতে বাধ সাধলেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউর। ডিভোর্স দিতে রাজি হলেন না প্রকাশ। হেমা-ধর্মেন্দ্র প্রমাণ করলেন ভালবাসায় সব কিছুই চলতে পারে। দু’জনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। এখনও দেওল পরিবার হেমাকে গ্রহণ করেনি।
* পারভিন ববি-মহেশ ভাট্ট: সেই সময় কিরণ ভাট্ট মহেশের বিবাহিত স্ত্রী। তবু পরিচালক মহেশ ভাট্টের প্রেমে পড়েছিলেন উঠতি নায়িকা পরভিন। মহেশের সঙ্গে লিভ-ইনও শুরু করেছিলেন পরভিন। একদিন নাকি পারভিনের উপর মারাত্মক রেগে গিয়ে সম্পর্ক শেষ করে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন মুকেশ। সেই সময় তাঁকে আটকাতে পরভিনও তাঁর পিছন পিছন ছুটতে থাকেন। শোনা যায়, ভালবাসায় এতটাই অন্ধ ছিলেন পরভিন যে তিনি নাকি খেয়ালই করেননি যে তাঁর গায়ে প্রায় কোনও জামা-কাপড়ই নেই!
* সাইফ আলি খান-কারিনা কাপুর: নিজেদের ভালবাসা লুকিয়ে রাখেননি সাইফ-কারিনা। কারিনার সঙ্গে বেশ খুল্লাম খুল্লাই প্রেম করতে দেখা যেত ছোট নবাবকে। এমনকী কারিনার জন্য নিজের বাম হাতে এক বিশাল ট্যাটুও করেছেন সাইফ। তাতে দেবনাগরী হরফে কারিনার নাম লেখা।
* সুস্মিতা সেন-রণদীপ হুডা: ‘কর্মা’র শুটিংয়ের সময় থেকে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল তাঁদের। ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টিকেছিল সেই সম্পর্ক। শোনা যায়, রণদীপের জন্য নাকি চেন স্মোকার হয়েও সিগারেট খাওয়া ছেড়েছিলেন সুস্মিতা।
* আমিষা পটেল-বিক্রম ভাট্ট: ২০০২-এ বিক্রম ভাট্টের ‘আপ মুঝে আচ্ছে লাগনে লাগে’-র সময় থেকে তাঁদের সম্পর্কের শুরু। কিন্তু এই সম্পর্কের জন্য পরিবারের সঙ্গেও দুরত্ব তৈরি হয়েছিল আমিশার। যদিও পাঁচ বছর পর তাঁদের ব্রেকআপ হয়ে যায়।-আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই