ভালোবাসার কিছু রসময় দিক

বিজ্ঞানের ভাষায় প্রেম-ভালোবাসা হচ্ছে রসের খেলামেলা। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের হরমোনের কারণেই মানুষের মস্তিষ্কে এই প্রেম-ভালোবাসার জন্ম হয়। এসব হরমোন টরমোন ছাড়াও ভালোবাসার কিছু রস রয়েছে। আসুন সেরকম কিছু রস দেখি।

“প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে বাংলা গান”
পার্কের বেঞ্চে প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা প্রেমিক মন বলে ওঠেঃ “আমি কার জন্য পথ চেয়ে রব আমার কী দায় পড়েছে?”

এমন সময় প্রেমিকা এসে বললঃ “আকাশ অনেক মেঘলা ছিল, বৃষ্টি হবে ভেবে দেরি হয়েছে। ওগো রাগ করোনা” (আসলে কিন্তু মেক আপ করতে গিয়ে দেরি হয়েছে)। প্রেমিক তখন কপট অভিমান ভুলে প্রেমিকার আধা ইঞ্চি মেকাপ সমৃদ্ধ মুখের প্রশংসায় বলে ওঠেঃ “যদি বউ সাজোগো আরো সুন্দর লাগবে গো” (আসলে কিন্তু পুরাই ফাও মারছে)।

মেয়েটা খুশি হয়ে (আসলে আরো বেশী প্রশংসা শোনার জন্য) বলে ওঠেঃ

“এমন অনেক কথাই বল তুমি মন থেকে যা বল না
তোমার অনেক সত্যি কথা আমি ভাবি ছলনা”

পার্কে শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকাই থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই। কিছু বখাটেদেরও তো অধিকার রয়েছে পার্কে ঘুরে বেড়ানোর। দুই কপোত-কপোতী যখন প্রেমে মগ্ন তখন পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া বখাটেদের কান্ডদেখুন:
“অল্পনা বয়সের সখিনা ছেড়ি; আমার মনটা ক্যান করলি চুরি?”

“সত্যি কইরা বলনা ছেড়ি গো কোন দেশে তোর বাড়ি?”

বখাটেদের যন্ত্রণায় কোথাও একটু শান্তিতে বসা যায় না। তাই আজকের মতো ডেটিং সমাপ্ত করে যে যার যার বাড়িতে চলে গেলো। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলো। এবার মোবাইল ফোনে প্রেমের সময় হয়েছে। ছেলে মেয়েটিকে ফোন দিয়েছে। মেয়েটি ফোন রিসিভ করতেই – ছেলেটি গেয়ে ওঠে: “আধো আলো ছায়াতে কিছু ভালোবাসাতে আজ মন ভোলাতে হবে বল কার?” জবাবে মেয়েটি বলে: চুপি চুপি বল কেউ জেনে যাবে; জেনে যাবে কেউ জেনে যাবে”।

যাক অনেক প্রেম-ভালোবাসা হয়েছে। এবার বিয়ের পালা। কিন্তু চাকরির অভাবে বিয়ে তো দূরের কথা সম্পর্কই ভেঙ্গে গেছে। এমন সময় ছেলেটির চাকরি হয়। সেই মেয়েটিকে ফোন করে ছেলেটি যা বলে: “চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ? সম্বন্ধটা এইবার তুমি ভেস্তে দিতে পার”। মাকে বলে দাও বিয়ে তুমি করছ না।

ছেলের চাকরি হওয়ার পর মেয়ের বাবা-মাও এই বিয়েতে সম্মতি দেয়। যাক এবার বিয়ের দিন সারা বাড়িতে একই কথা: “লীলাবালি লীলাবালি বল ও যুবতী সইগো কি দিয়া সাজাইমু তরে?”

আর বলতে পারুম না। তবে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত রইলো।



মন্তব্য চালু নেই