ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কাঠগড়ায় বাংলাদেশি আম্পায়ার!
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পঞ্চম ওভার চলছিল তখন। ভারতীয় বোলার আশিস নেহরার বিপক্ষে ব্যাট করছিলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খুররম মনজুর খান। নেহরার সেই ওভারের চতুর্থ বল খুররম রিভার্স সুইপ করতে গেলে গ্লাভসে লেগে বল সোজা চলে যায় উইকেটের পেছনে ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে।
ভারতীয় ফিল্ডাররা উল্লাসে মেতে ওঠেন। আর নেহরা তো উইকেট পাওয়ার আনন্দও কিছুটা করে ফেলেছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশি আম্পায়ার সরফুদ্দৌলা সৈকত একেবারেই নিশ্চুপ। পরে মাথা নাড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন না, সেটি আউট ছিল না।
ভারতীয় সব খেলোয়াড়ই অবাক হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন আম্পায়ারের দিকে। ভারতীয় অধিনায়ক ধোনিতো ক্ষোভটা ধরে রাখতে পারলেন না। সেই ওভার শেষে তিনি আম্পায়ারের সঙ্গে কিছুক্ষক কথাও বলেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন সিটি নিশ্চিত আউটই ছিল। এই নিয়ে ধোনি অসহিষ্ণু আচরণ টিভিতে বারবার দেখানো হয়েছে।
টিভি রিপ্লেতেও বারবার দেখানো হয়েছে, পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খুররমের গ্লাভসে বলটি লেগেছে। ধারাভাষ্যকাররাও বলেছেন সেটি আউট ছিল। তাই ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য কাঠগড়ায় ছিলেন এই বাংলাদেশি আম্পায়ার।
দলীয় ২৮ রানের মাথায় এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তখন। অবশ্য আম্পায়ারের বদান্যতায় জীবন পেলেও তিনি নিজের ইনিংসটাকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। আরো সাত বল খেলেছেন ঠিকই, কিন্তু কোনো রান যোগ করতে পারেননি।
ভারতীয় ফিল্ডার বিরাট কোহলির দুর্দন্ত একটি থ্রোতে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে খুররমকে। শুধু খররমই দ্রুত সাজঘরে ফিরে যাননি, এদিন পাকিস্তানি ব্যাটিংও ছিল বেহাল।
বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই আম্পায়ারিং করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ২০১০ সাল থেকে ২৩টি ওয়ানডে এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেন দশটি প্রাথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই আম্পায়ার।
মন্তব্য চালু নেই