ভারতে সেনা প্রধান নিয়োগ বিতর্ক: যে ১১ টি কথা আপনার জানা জরুরি
তিনজন একই পদমর্যাদার সেনা অফিসারকে পেরিয়ে সরকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়তকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসাবে নিয়োগ করেছে। তারপর থেকেই প্রাক্তন সেনাকর্তারা ও রাজনৈতিক নেতারা নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করছেন। জেনে নিন এই বিতর্কের নানা দিক।
• লে. জে. বিপিন রাওয়ত ছিলেন ভাইস চিফ অফ আর্মি স্টাফ (সহ-সেনাপ্রধান)
• বয়সের দিক থেকে জেনারেল রাওয়ত আরও তিনজন একই পদমর্যাদার অফিসারের থেকে ছোট ছিলেন।
• বয়সের দিক দিয়ে দেখলে, পূর্ব কমান্ডের প্রধান লে.জে. প্রবীণ বক্সি প্রবীনতম অফিসার। বয়সের বিচারে তাঁরই সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল।
• আরও যে দু’জন অফিসারকে টপকে গেলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাওয়ত। তাঁরা হলেন, দক্ষিণ কমান্ডের প্রধান লে.জে. পিএম হারিজ এবং মধ্য কমান্ডের প্রধান লে.জে. বিএস নেগি।
• সেনাপ্রধান নিয়োগের প্রথা হল— যিনি প্রবীনতম অফিসার তাঁকেই প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
• কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ যাতে না ওঠে, তাই এই নিয়মই মানা হয়।
• নরেন্দ্র মোদী এই প্রথা মেনে নিয়োগ করেননি বলেই এই নিয়োগ-বিতর্ক।
• এই প্রথা কেন ভাঙা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের বক্তব্য, এই প্রথা ভেঙে সেনাপ্রধান নিয়োগে সরকারের পছন্দকে যেভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তাতে ‘রাজনীতির রং’ লেগে গিয়েছে। এর ফলে সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে যেতে পারে।
• মোদী সরকারের যুক্তি এর আগেও ইন্দিরা গাঁধীর সময়ে এই প্রথা ভেঙে প্রবীন অফিসারদের পেরিয়ে জেনারেল এএস বৈদ্যকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল।
• সেনা সূত্রের খবর, লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাওয়তের অভিজ্ঞতা প্রশ্নাতীত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর জঙ্গিদমন ও উগ্রপন্থা দমনের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে।
• লে.জে. রাওয়ত আগে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯ ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর সেনা হেডকোয়ার্টারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই