ভারতে যদি কোহলির মতো ‘এটিএম’ মেশিন থাকত, তাহলে কী হতো জানেন?

আহা! ভারতে যদি বিরাট কোহলির মতো এটিএম মেশিন থাকত! তাহলে চাইলেই মিলত একশো টাকা। মানুষজনকে আর একশো টাকার জন্য হাপিত্যেশ করতে হত না!

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৌলতে দেশে এখন টাকার জন্য প্রবল হাহাকার। এটিএম থেকে মিলছে না একশো টাকা। বড় নোট অবশ্য মিলছে। তাতে যে মানুষের ঝোঁক নেই। আমজনতা তো চায় একশোর নোট।

এটা প্রতীকী। গোটা দেশে যদি কোহলির মতো এটিএম থাকত। তাহলে তো কোনও কথাই ছিল না। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, জ্বালা, যন্ত্রণা জুড়িয়ে যেত। বিরাট কোহলি একজনই হবেন।

আর তাঁর মতো এটিএএমের সন্ধান পাওয়া যাবে না দেশের কোথাও। বিরাট কোহলি যেন সেই মধুসূধন দাদা। তাঁর ব্যাট নামক তূণে রানের অভাব নেই। যত কঠিনই পরিস্থিতি হোক না কেন, কোহলির ব্যাট সবসময়ে কথা বলে। দল বিপদে, কুছ পরোয়া নেহি।

বিরাট কোহলি আছেন। তিনি ঠিক দলকে উতরে দেবেন। সেঞ্চুরি করবেন হাসতে হাসতে। এমনই জাদু কোহলির। তাঁকে নিয়ে গোটা দেশ এই জন্যই আলোড়িত। শচীনের সঙ্গে নিরন্তর তুলনা চলে তাঁর।

মুম্বাইয়ে চলতি ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচেও কোহলি নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করলেন। দুর্দান্ত একটা শতরান হাঁকালেন। প্রয়োজনের সময়ে ওপেনার মুরলী বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস টানার কাজটা করলেন।

এক সঙ্গে তিন-তিনটি রেকর্ড গড়লেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক। ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কের মুকুটে উঠল প্রথম পালকটি। চলতি বছরে টেস্ট ক্রিকেটে এক হাজার রান করে ফেললেন কোহলি। আরও ছ’ রান করে দ্বিতীয় কীর্তিও গড়লেন তিনি।

টেস্ট কেরিয়ারে চার হাজার রানের মালিক হলেন কোহলি। ব্যক্তিগত ৫৫ রানের মাথায় আরও একটি নজির তাঁর। সেটি কী? ওয়ানডে, টেস্ট ও টি টোয়েন্টি—অর্থাৎ ক্রিকেটের তিনটি ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তিনি।

দিনের শেষে ভারতের রান সাত উইকেটে ৪৫১। ক্রিজে অপরাজিত কোহলি ১৪৭ রানে। মুরলী বিজয় ১৩৬ রান করেন। এই মুহূর্তে ভারত ৫১ রানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ডের থেকে। হাতে রয়েছে তিন-তিনটি উইকেট। কোহলির সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন জয়ন্ত যাদব (৩০)।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই