‘ভারতের সাথে সরকারের চুক্তি হয় গোপনে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ বলেন, ‘ভারতের সাথে সরকারের সব চুক্তি হয় গোপনে, একটা চুক্তিও পার্লামেন্টে হয় না। তাই সব চুক্তিই ভারতের পক্ষে হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে মানুষ আজ শঙ্কিত’।
বৃহস্পাতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) আয়োজিত মওলানা ভাসানী: ভারতের পানি আগ্রাসন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ভারত ট্রানজিট, ফারাক্কা, তিস্তাসহ সব বিষয়ে সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আর তাদের সহযোগিতা করেছে আ.লীগ। তারা(আ.লীগ)ভারতের তাবেদার না হলে পানির ন্যায্য হিস্যায় দেশের পক্ষে কথা না বলে ভারতের পক্ষে কথা বলবে কেন?
তিনি আরো বলেন, আমরা দুর্বল থাকলে ভারতের পানি আগ্রাসননীতি বন্ধ হবে না।তাই আমাদের শিগগিরই রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নইলে ভারত আরো বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
আগে টিপাঁইবাধ হোক পরে দেখা যাবে সরকারের মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি তো বাংলাদেশের মন্ত্রী না।তিনি ভারতের মন্ত্রী। তাই এসব কথা বলতেই পারেন।
আজ পর্যন্ত ভারতের সাথে কোন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করে কোন ফলাফল আসেনি।তারা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা বলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে ভাউতাবাজি করছে।
মওলানা ভাসানী প্রসঙ্গে হান্নান শাহ বলেন, তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী, শোষণ ও আগ্রাসীনীতি বিরোধী।তিনি ভারত বিরোধী ছিলেন না, তবে তাদের শোষণ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিকারের চেষ্টা করেছিলেন।
আলোচনা সভায় ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মোবিন, ন্যাপ-ভাসানীর অতিরিক্ত মহাসচিব মো. সাহরুল হক পান্না প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই