ভাবতে পারি নাই মিজু এতো তাড়াতাড়ি মরে যাবে : টেলিসামাদ
খলনায়ক ছিলেন মিজু আহমেদ। খলনায়ক মানেই আমাদের দেশের সাধারণ পাব্লিক বুঝে নেয় যে, এই মানুষটি বাস্তবেও খারাপ। কিন্তু আসলে মিজু আহমেদ ছিলো অসাধারণ মানুষ। অবশ্য মানুষ তাকে খারাপ বলার মানেই হইলো সে অভিনয়ে সাকসেস। তার সাথে আমার অনেক আগে থেকেই পরিচয়। আমি যখন স্টেজে স্টেজে ফাংশান করতাম তখন থেকেই। একবার কুষ্টিয়া গেলাম ফাংশান করতে, তখনই মিজু আহমেদের সঙ্গে দেখা। সে এসে আমাকে বললো, আচ্ছা টেলি ভাই আমিতো এখানে নাটকে অভিনয় টভিনয় করি। আমাকে কি সিনেমায় অভিনয় করতে দিবে!?
তখন আমি বললাম, অবশ্যই দিবে। তুইতো ভালো অভিনয় করিস। একদিন না একদিনতো তুই যাবিই! তো আজকে সেই কথা সত্যি হইছে যে, মিজু আহমেদ নামের সাথে পরবর্তীতে দাপটের সাথে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করে গেছে। কিন্তু আমি ভাবতে পারি নাই, মিজু আহমেদ এতো তাড়াতাড়ি মরে যাবে। আমিও মাঝখানে অনেকদিন অসুস্থ ছিলাম। সেসময় তারসাথে একদিন কথা বলছিলাম। সে আমাকে বললো, আল্লাহ আপনাকে ভারো করে দিবেন। আজকে মিজু আহমেদ আমাদের মাঝে নেই। আর আসবে না। কিন্তু তাই বলে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে একটা মানুষ!
কালকে দিনাজপুরে যাওয়ার পথে ট্রেনেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেল, এটা বড়ই দুঃখের বিষয়। করুন বিষয়। আজকে ওর স্ত্রী পুত্র কেমনে থাকবে, ওরা কেমনে বাঁচবে! দোয়া করি ওরা সবাই সুন্দরভাবে ভালোভাবে বাঁচুক। আর মিজু আহমেদের আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করি। এই মিজু আহমেদকে নিয়ে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় শো করেছি, ফাংশান করেছি। আমি গাইতাম গান, আর মিজু ভিলেনের চরিত্রে ডায়ালগ বলতো। এই করতো, সেই করতো। পাব্লিক খুব হাত তালি দিতো। এই আহমদ শরীফও আমার সাথে অনেক শো করেছে। আমরা সবাই একসঙ্গে গেছি। আজকে মিজু আহমেদ সবাইকে রেখে একা চলে গেল! ওর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। ওর যদি কোনো গোনাহ থাকে, মনে হয় না গোনাহ করেছে। তারপরও যদি কোনো গোনাহ থেকে থাকে, দোয়া করি আল্লাহ যেনো সবকিছু মাফ করে দেন। তাকে বেহেশত নসিব করেন।
মন্তব্য চালু নেই