ভাঙ্গায় কেরাম খেলা নিয়ে সংর্ঘষ : এক যুবক খুন, স্কুল শিক্ষিকা সহ তিনজন গুরুতর আহত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পীরের চর বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষে এক যুবক খুন এবং স্কুল শিক্ষিকা সহ অপর তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, ওই বাজারের মাছ বিক্রির টল ঘরে দুপুরের পর থেকে প্রতিদিনই কেরাম খেলা চলে। বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কুমার নদী। ঘটনার দিন নদীর ওপাড় পোপালগঞ্জ মুকসুদপুরের বিষেরবাগ বাহাড়া গ্রামের কয়েক যুবক এসে কেরাম খেলায় অংশ নেয়।

খেলার এক পর্যায়ে এপাড়ের বাজারের পাশ্ববর্তী ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের তালকান্দা গ্রামের যুবকদের সাথে সংর্ঘষ বেঁধে যায়। এসময় বাহাড়া গ্রামের ইউসুফ শিকদারের বখাটে ছেলে মামুন (২৪)তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপতে থাকে ।

এসময় মামুন ও তার সহযোগীদের কোপে খেলার দর্শক তালকান্দা গ্রামের অটো চালক ফারুকের (২৬) বুকের বাম পাজরে কোপ লাগলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে এবং তাদের কোপে একই গ্রামের আক্তার খালাসী (৩২) ও জুয়েল ফকিরও (১৮) গুরুতর আহত হয়েছে।

তাদের আর্ত চিৎকারে পাশ্ববর্তী পীরের চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ভাঙ্গার রায়পাড়া সদরদী গ্রামের গৌরি রানী সংর্ঘষ ঠেকাতে এগিয়ে আসলে মামুন ও তার সহযোগীদের এলোপাথারী কোপে তিনিও গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মামুন ও তার সহযোগীদের ধাওয়া করে মামুনকে ধরে গণধোলাই দেয় ।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার এবং খুনি মামুনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় মামুনের কয়েক সহযোগী পালিয়ে যায়। আহত আক্তার ও জুয়েলকে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং আহত শিক্ষিকা গৌরি রানীকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুনি মামুনকে পুলিশ পাহারায় ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম জানান , খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে। খুনের সাথে জড়িত যুবক মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



মন্তব্য চালু নেই