বড়পুকুরিয়ার জলাধারে মৎস্য চাষে ক্ষতিগ্রস্থ ৪২৪টি পরিবারের কর্মসংস্থান
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলনের ফলে ভূমি অবনমনে সৃষ্ট প্রায় ২’শ একর জমির বিশাল জলাধারে বছরে ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ টন মৎস্য উৎপাদন করা সম্ভব। এতে প্রতিবছর বাড়তি আয় হবে ৬ কোটি টাকারও বেশী। কর্মসংস্থান হবে আবাদী জমি হারা ক্ষতিগ্রস্থ ৪২৪টি পরিবারের। কয়লা খনির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারকে মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করার পাশাপাশি দেশে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে মৎস্য বিভাগ।
বড়পুকুরিয়ার প্রায় ২শ’ একরের বিশাল জলাধারে মৎস্য চাষ প্রকল্প কার্যকর করতে রোববার পরিদর্শনে যান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব শেলিনা আফরোজা। সেখানে মৎস্যচাষীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় শেলিনা আফরোজা বলেন, কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলনের ফলে দেবে যাওয়া জমির ক্ষতিপুরন বাবদ সরকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ১৯১ কোটি টাকা প্রদান করলেও মনের ক্ষত পুরন হয়নি বড়পুকুরিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের। ক্ষতিপুরনের টাকা পেলেও অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে, অনেকে ক্ষতিপুরনের টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করে ফেলেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ এসব মানুষের আবার আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলেই তাদের মনের ক্ষত পুরন হবে। আর তাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্যই সম্ভাবনাময় এই বিশাল জলাধারে মৎস্য চাষের প্রকল্প গ্রহন করেছে মৎস্য বিভাগ।
মৎস্য মন্ত্রনালয়ের সচিব বলেন, বড়পুকুরিয়ার এই বিশাল জলাধারের পানি মৎস্য চাষের জন্য বেশ উপযোগী। পরীক্ষা করে দেখা গেছে মৎস্য চাষের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান এখানকার পানির মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, বিশাল এই জলাধারে দুটি মৎস্য অভায়রন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। একটি উত্তর এবং অপরটি দক্ষিন। উত্তরভাগে ১৫৩ জন এবং দক্ষিনভাগে ২৭১ জনসহ মোট ৪২৪টি পরিবার এই মৎস্য চাষের উপকারভোগী হিসেবে থাকবে। ভূমি অবনমনের ফলে এসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮১ জন জেলেকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। বিশাল এই জলাধারে মৎস্য চাষে আধুনিকীকরনে বাধ, নৌকাসহ সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি। আর এরই অংশ হিসেবে ৫টি উন্নত মানের জাল সরবরাহ করা হয়েছে জেলেদের মধ্যে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুবিধাভোগী আসাদুজ্জামান আসাদ, সুবিধাভোগী নুর মোহাম্মদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসান ফেরদৌস সরকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ অজয় কুমার রায়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব, শেলিনা আফরোজা পিএইচডি প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই